সংবাদদাতা, কলকাতা: প্রায় দীর্ঘ পঁচাত্তর বছর পর দলগত ভাবে লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চলেছে ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল অখিলভারত হিন্দুমহাসভা । পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে হিন্দু মহাসভার রাজ্য কমিটির সদস্যরা ২২সে মার্চ তারিখে নির্বাচন কমিশন, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং কংগ্রেসের সাথে প্রাক নির্বাচন মুহূর্তে ভালোবাসার কার্ড, চিঠি এবং লাল গোলাপ নিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে চলেছে । চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য যে কোন নির্বাচন হওয়া উচিৎ অবাধ ও শান্তপূর্ণভাবে । রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তিত্বদের কখনোই পরস্পরকে অসংসদীয় ভাষায় ব্যক্তি আক্রমণ করা উচিৎ নয়, বরং অহংকার ও পারস্পরিক ঘৃনা দূরে সরিয়ে রেখে লড়াইটা হোক নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে । তিনি আরো বলেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষের মৃত্যু, হত্যা, রক্তপাত বা জিঘাংসা কখনোই অভিপ্রেত নয় । আমরা কখনোই বলছিনা যে ভোট শুধুমাত্র হিন্দু মহাসভার প্রাথীদেরই দিতে হবে, মানুষ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন কিন্তু তাদের উচিত হিন্দুমহাসভার হাতকে শক্তিশালী করা কারণ কেবলমাত্র হিন্দু মহাসভার প্রার্থীরাই জনগণের প্রতিনিধি হয়ে তাদের ভোটদানের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করে সারা ভারতবর্ষে রাজনৈতিক সৌজন্য ও মানুষে মানুষে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও প্রেম ভালোবাসা পরিবেশ সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে । নির্বাচন কমিশন এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক সৌজন্য ও হিংসামুক্ত নির্বাচনের বার্তা দিলেও কমিউনিষ্ট পার্টির সাথে দেখা না করার কারণ হিসেবে সংগঠনের অফিস সেক্রেটারি শ্রাবণী মুখার্জীর বক্তব্য অতীতে আমরা যখন সব রাজনৈতিক দলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ছিলাম তখন ওরা দরজা বন্ধ করে রেখেছিল । তাছাড়া রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করায় এমনিতেই ওদের আলাদা কোনো অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয়না । হিন্দু মহাসভার প্রতিনিধি দলের সদস্য অ্যাডভোকেট পীযুষ কান্তি সরকার বলেন নির্বাচনের ফল যাই হোকনা কেন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলগুলোর গণতন্ত্রকে সম্মান জানিয়ে জনগণের রায়কে মাথা পেতে মেনে নেওয়া উচিত ।