নিজস্ব প্রতিনিধি : “লক্ষকণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে” উপস্থিত থেকে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী আরেকটি ঐতিহাসিক কর্মসূচীর ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলাস্থিত অযোধ্যা পাহাড় ও সীতাকুন্ড সংলগ্ন অঞ্চলে “সীতা রাম” মন্দির স্থাপন করার । তিনি বলেন এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে সনাতনী হিন্দুদের আবেগ রাম মন্দির পুনঃনির্মাণের দিনে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে মাত্র সাত হাজার মানুষ যারা সরকার ঘনিষ্ঠ বা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব তাদেরই শুধু রাম মন্দির উদঘাটন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অনুমতি দিয়েছেন । কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রচার কি প্রভু রামচন্দ্রের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ? এটা খুব দুঃখের যে এই রামমন্দির জনআন্দোলনের পিটিশন আমরা অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা করেছি, অথচ আজ আমরাই সেই অনুষ্ঠানে ব্রাত্য । উপযুক্ত সম্মান দিয়ে ডাকা হয়নি আন্দোলনের পুরোধা পুরুষ লালকৃষ্ণ আদবানিজি এবং মুরলী মনোহর যোশী জিকেও । তাই ভারত বর্ষের সমস্ত রাজ্যের মানুষদের আমরা আহবান জানাচ্ছি অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে ওই 22 সে জানুয়ারী 2024 তারিখেই “অযোধ্যা পাহাড় যাত্রার”। অযোধ্যা যেমন প্রভু শ্রীরামের জন্মভূমি, সেই রকম আমাদের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলাস্থিত অযোধ্যা পাহাড় প্রভু শ্রীরামচন্দ্রের কর্মভূমিও । এখানে প্রভু রাম, দেবী সীতা এবং লক্ষণজী বেশ কিছু দিন সময় কাটান । এমনকি তৃষ্ণার্ত সীতা দেবীকে জল দিতে গিয়ে প্রভু রাম তীর দিয়ে ভূগর্ভের সুমিষ্ট জল তুলে আনেন, যা আজ সীতাকুন্ড নামে বিখ্যাত । যেহেতু ভগবান রামচন্দ্রের পরবর্তী অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাই আমরা অযোধ্যা পাহাড়ের উপর গীতাপাঠ অনুষ্ঠান করতে চলেছি 22 সে জানুয়ারী তারিখে এবং ভবিষ্যতে এই অঞ্চলেই আমরা ঐতিহাসিক “সীতারাম মন্দির” স্থাপন করার সংকল্প নিচ্ছি । আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করছি আগামী 22 সে জানুয়ারী আমাদের “অযোধ্যা পাহাড় চলো” অভিযানকে সাফল্যমন্ডিত করতে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন যেন সম্পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা করে । আমরা কোনো মূল্যেই প্রভু রামের প্রতি আমাদের ভক্তিকে নিয়ে বাণিজ্যিকীকরণ বা রাজনীতিকরণের পক্ষে নই, বরং আমরা চাই প্রভু রামের আদর্শে যাতে আমরা আমাদের চরিত্রকে গঠন করতে পারি এবং তবেই কেবলমাত্র ভারতবর্ষে প্রকৃত রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে ।