সঙ্কেত ডেস্ক: শুক্রবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ।আর সেখানেই অভিষেককে নিশানা করেন তিনি।
ডায়মন্ড হারবারে মার্জিন বাড়ানোর লক্ষে অভিষেক এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,এখনো প্রতিপক্ষ ঘোষণা হয়নি। বিজেপির কেন্দ্রের এখনো ঘোষণাাই করেনি তাতে এত টেনশন নেওয়ার কি আছে। উনি যেভাবে মার্জিন বাড়ান বা ভোট কেনে সবাই জানে। আমার মনে হয় ইলেকশন কমিশন বা আরও বাকিরা যারা আছে তারা যা প্রস্তুতি নিচ্ছে সেই জন্য চাপে আছেন। দেখা যাক ইলেকশন এখনো দেরি আছে।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল এর মন্তব্যে বিতর্ক। বাঙালি মদ, সিগারেট খায় আর আঁতলামো করে এপ্রসঙ্গে বলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন , বাঙালি সম্পর্কে অনেকে অনেক কিছু বলে আগেও বলেছে। আমার মনে হয় বাঙালিরা আমরা ওখানে একটা দায়ী আছি। বাইরের লোক বলে দিলে সেন্টিমেন্টে লাগে। বাংলায় যে রাজনীতি চলছে যে দুর্নীতি চলছে এরপরেও বাঙালি যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে কাজ করছে কেউ বলবে। মদ কারা খায় না, বাঙালি কি খায় না? সন্ধ্যার পর পাড়ায় পাড়ায় পার্টি অফিসে মদের ফোয়ারা চলছে। বাইরের লোক বললে যদি কষ্ট হয় তাহলে বন্ধ করুন। ইমেজ খারাপ কে করেছে আজকে? স্কুলে পড়াশুনা বাদ দিয়ে কার্ড মানি নেয়া হচ্ছে, হসপিটালে ডাক্তার নেই নার্স নেই, ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। থানাগুলো তলাবাজির জায়গা হয়ে গেছে। আর চাকরি করতে গেলে কন্ট্রাকচুয়াল থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় টাকা দিতে হয়।
একদা বামেদের শক্ত ঘাঁটি যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলিকে কটাক্ষ সায়নি ঘোষের ,এপ্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, অনির্বাণদার বিরুদ্ধে বলার কিছু নেই উনিতো বিজেপি বিজেপি বলেই উনাকে ভোট দেবে। উনি(সায়নী ঘোষ) কি? কার কি কালচার বোঝাই যাচ্ছে, টিএমসি মানে সন্দেশখালি।
বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে মোদির কথায় কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রশংসা। রামমোহন রায়ের সঙ্গে গুলোচ্ছেন, কটাক্ষ মহুয়ার মৈত্রের। এ প্রসঙ্গে বলেন , উনি রাজা, কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাংলার রাজাদের মধ্যে এখনো সবচেয়ে পপুলার। তাকে নিয়ে এখনো মজা, গান, নাটক হয়। নদিয়ায় তাকে নিয়ে ঘটনা অনেক প্রচলিত, তার গান অনেক প্রচলিত তাই তাকে প্রশংসা করেছেন। কারো সঙ্গে যদি মিলে যায় তাতে তো আপত্তির নেই। উনি যে অযোগ্য ছিলেন বা রাজা হিসেবে কিছু করেননি এটা তো বলা যাবে না।
উত্তর ২৪ পরগনার সুটিয়ায় কাজ না করেও ১০০দিনের টাকা একাউন্টে! ঘুরপথে ফের তৃণমূলের ঘরে! চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ সম্বন্ধে তিনি বলেন টাকা আছে ঘর পথে যায় সোজা পথে যায় এটা তো জানার অভাব নেই। সেই জন্য হিসাব দিতে পারে না, তাই কেন্দ্র সরকার টাকা বন্ধ করেছে। এই অভিযোগ ও থাকবে আর অভিযোগের সত্যতা ও আছে।