সঙ্কেত ডেস্ক: যে রাধে সে চুল ও বাঁধে,এই প্রবাদ বাক্যকে সার্থক করে দেখলেন রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। অনান্য বছরের মতো এবারও বাঁকুড়া জেলায় সরকারি উদ্যোগে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী মুকুটমণিপুর মেলা।সেখানে আদিবাসী ছেলেমেয়েদের র্যাম্প ওয়াকে,তাঁদের সঙ্গে ফ্যাশন শোয়ে মঞ্চ মাতালেন রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি।
সাধারণত পণ্য বিপণনের জন্য ফ্যাশন শোতে সংশ্লিষ্ট মডেলরা পোশাক-সহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে নজরকাড়া পোশাকে দর্শকদের সামনে হাজির হন।তবে মুকুটমনিপুর মেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চে কোন পণ্য বিপণন নয়, নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতেই র্যাম্পে হাঁটলেন আদিবাসী সমাজের তরুণ-তরুণীরা,সঙ্গে মন্ত্রীও।আর তা দেখে মুগ্ধ উপস্থিত দর্শকরা। রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি জানান, এই প্রথমবার আদিবাসী ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হল। এবার ফ্যাশন শো-তে খাতড়া আদিবাসী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানান মন্ত্রী।
পাশাপাশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘আমাদের আদিবাসী সংস্কৃতিতে বিভিন্ন পরব অনুযায়ী শাড়ি পরার যে ধরন, সে বিষয়ে সকলে জানেন না। সহরাই, বাঁধনা, করম-সহ বিভিন্ন উৎসব ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান। প্রতিটি উৎসব ও সামাজিক অনুষ্ঠানে আদিবাসী পুরুষ ও মহিলাদের ভিন্ন ভিন্ন পোশাক রয়েছে। এই মঞ্চে ছোট ছোট করে সেই সব দেখানোর চেষ্টা করেছি।’
জানাগেছে এইসব ছেলেমেয়েদের র্যাম্পে হাঁটার আদবকায়দা শিখিয়েছেন খোদ মন্ত্রীই।পাশাপাশি মঞ্চে রাখা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের শাড়ি ‘পাঞ্চি’ও।