সঙ্কেত ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ আসছে তাদের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের অন্তত ৮০টি পরিবারের আধার কার্জ নিষ্ক্রিয় হয়েছে বলে খবর। এই বিষয়ে দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মমতা লেখেন তিনি ‘স্তম্ভিত।’ চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘জানতে পেরেছি দিল্লির UIDAI কোনও ফিল্ড এনকোয়ারি ছাড়া এই নোটিস দিয়েছে। রাজ্যকে না জানিয়েই আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেশনের নোটিস পাঠিয়েছে একাধিক বাড়িতে। আগাম না জানিয়ে কীভাবে এটা করা হতে পারে অবাক লাগছে।’ মমতা আবেদন জানিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করুন। নইলে সাধারণ মানুষ বড়সড় বিড়ম্বনায় পড়ছেন।
তার আগে এই ইস্যুতে এক্স প্ল্যাটফর্মে মমতা লিখলেন, “পশ্চিম বাঙলার এসসি, এসসি, ও ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষদের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার নিন্দা করছি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম পরামর্শ ছাড়াই আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার একপেশে সিদ্ধান্ত একেবারে খারাপ। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার পরিকল্পনা হল এই আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার প্লট। আমরা সবাই ভারতবাসী। প্রতিটি নাগরিক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবে। তাতে তাদের আধার কার্ড থাকুক বা না থাকুক।
সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা অভিযোগ করেছিলেন, যাতে ভোট দিতে না পারে, সেই কারণে অনেকের আধার বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। তার পরেই আধার বাতিলের খবর প্রকাশ্যে আসায় এ নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে তৃণমূল।
আধার নিয়ে অস্বস্তি পড়ে এদিন সকালেই দিল্লিতে এ নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার সংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ছাড়াও ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই বৈঠকের পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তনু এই সমস্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলেন, ‘সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই সবটা হয়েছে।’