তারক হরি, পশ্চিম মেদিনীপুর : মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের আন্দোলনের মধ্যেই মানবতার একটি অসাধারণ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে। একদল নিষ্ঠাবান জুনিয়র চিকিৎসক, আন্দোলনের সকল বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে, সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে দুই দৃষ্টিহীন ব্যক্তিকে নতুন জীবন দিয়েছেন। মৃত্যুর মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যে কর্নিয়া সংগ্রহ করে এই অসাধারণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল সূত্রে জানা যায়,গত মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় চক্ষু দানে অঙ্গীকারবদ্ধ এক প্রৌঢ়ার। মৃত ওই প্রৌঢ়ার পরিবারের সদস্যদের সহৃদয়তায় এবং চক্ষু বিভাগের তৎপরতায় মৃত্যুর ৬ ঘন্টার মধ্যেই তাঁর কর্নিয়া বা মণি সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিভাগ। তা সংরক্ষণ করে রাখা হয় আই ব্যাঙ্ক এবং সেই কর্নিয়া দু’টি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলা দুই ব্যক্তির চোখে সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হয়। মৃতার চোখের মণিতে অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরেন দু’জন।
এই চলমান আন্দোলনের মধ্যেই একটি মানবতার অসাধারণ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনের সকল বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে, জুনিয়র চিকিৎসক ডঃ দেবার্ঘ্য সহ তার দল সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে দুই দৃষ্টিহীন ব্যক্তিকে নতুন জীবন দিয়েছেন। মৃত্যুর মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যে কর্নিয়া সংগ্রহ করে এই অসাধারণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর রোগীরা সুস্থ আছেন এবং তারা চিকিৎসকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে চক্ষু বিভাগের প্রধান, ডঃ সুজাতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমি আমার সকল সহকর্মীদের এই অসাধারণ কাজের জন্য অভিনন্দন জানাই। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, আন্দোলনের মধ্যেও মানবতার সেবা করা সম্ভব।” মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষও জুনিয়রদের এই অক্লান্ত পরিশ্রম ও দক্ষতার প্রশংসা করেছেন এবং সকলকে চক্ষু দানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করলো যে, আন্দোলনের মধ্যেও মানবতার সেবা করা সম্ভব।