সঙ্কেত ডেস্ক: লাগবে না টাকা। লাগবে না কোনও অনুদান। দাবি একটাই আরজি করে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার বিচার চাই। এই দাবিকে সামনে রেখে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো অনুদানের টাকা থেকে মুখ ফেরাল মহিলা পুজো কমিটি।লাগবে না টাকা। লাগবে না কোনও অনুদান। দাবি একটাই আরজি করে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার বিচার চাই। এই দাবিকে সামনে রেখে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো অনুদানের টাকা থেকে মুখ ফেরাল হুগলির তারকেশ্বরের মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত এক পুজো কমিটি।
হুগলির উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘের তরফেই প্রথম রাজ্যের পুজো অনুদান নেওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছিল।কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক পুজো কমিটি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা সরকারি টাকা নেবে না। বরং ওই টাকা নারী নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হোক বলেও সরকারকে জানানো হয়েছে। হুগলির উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘের তরফেই প্রথম রাজ্যের পুজো অনুদান নেওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছিল।
আস্তারা গ্রামের মা শরদজননী দুর্গোৎসব পুজো কমিটির রুমা ধাড়া জানিয়েছেন, আগে ডাক্তার খুনের বিচার হবে, তারপর তারা সরকারের থেকে অনুদান গ্রহণ করবেন।
পাঁচ বছর আগে থেকে পুজো শুরু করেছে এই গ্রামের মহিলারা। সরকারি অনুদানের জন্য আবেদনও করেছিলেন। সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে এই বছর ৮৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পরের বছর অনুদান হবে এক লক্ষ টাকা। এই ৪৩ হাজার পুজো কমিটির মধ্যে মহিলা দ্বারা পরিচালিত পুজোর সংখ্যা প্রায় ২৫০০।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আরজি করের ঘটনায় এমনিতেই বিপাকে রয়েছে বাংলার শাসক দল। এবার সরকারি অনুদান না নেওয়ার তালিকা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে তৃণমূল সরকারের জনপ্রিয়তাতেও কার্যত ধাক্কা দিচ্ছে।