সঙ্কেত ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় সাড়া বাংলা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্দীপের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছিল।এবার সেই ঘটনায় মাঝরাস্তা থেকে আর জি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে পাকড়াও করল সিবিআই। সূত্রের খবর, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার জন্য সন্দীপকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু হাজিরা দেননি সন্দীপ। বরং আজ স্বাস্থ্যভবনে যান। সেখানে ঘণ্টাখানেকের মতো ছিলেন। সেখান থেকে বেরোনোর পরই মাঝরাস্তা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে চলে গিয়েছে সিবিআই।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে তাঁকে প্রাথমিক কিছু প্রশ্ন করার জন্যই সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআইয়ের দিল্লির আধিকারিকরা। সল্টলেক থেকে তাঁকে সিজিও কমপ্লক্সে নিয়ে আসা হয়। তাঁর কার্যকালের সময়কালেই আরজি কর হাসপাতালে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছিলেন ওই চিকিৎসক।
অন্যদিকে আজ, শুক্রবারই পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। দ্রুত শুনানি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদনও জানান। সেই শুনানি চলাকালীন অধ্যক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সবটাই আমাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ। আপনি চিন্তা করবেন না। আপনি খুবই ক্ষমতাশালী। আপনি আমাদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন। বাড়িতে শান্তিতে থাকুন। না হলে বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেব।’
উল্লেখ্য আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার অবব্যহিত পরে অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সন্দীপ। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়। যদিও সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয় সন্দীপের বিরুদ্ধে। তিনি ওই হাসপাতালে যাওয়ার আগে অধ্যক্ষের ঘরে তালা দেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়ারা। ঘটনাক্রমে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে চলে যান সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ।