সঙ্কেত ডেস্ক: হাই কোর্টের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের বদলে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার কাঁধে নিয়েছে সিবিআই। এই আবহে আজ সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে মামলার স্টেটাস রিপোর্ট চাওয়া হল। আগামী ২২ অগস্ট সিবিআইকে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত অগ্রগতি নিয়ে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। এদিকে গত ১৪ অগস্ট হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েও ওই দিন রিপোর্ট দেবে রাজ্য।
মঙ্গলবার সিবিআইকে সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২২ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সিবিআইকে প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন সাফ নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আর কাউকে এখন রিপোর্ট দিতে হবে না। আমাদের কাছেই তা পেশ করবেন।’

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। এদিন সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশের পর স্পষ্ট যে গোটা মামলা এবার সর্বোচ্চ আদালতে চলে গেল। শুধু সিবিআই নয়, ২২ অগস্ট রাজ্য সরকারকেও একটি রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ১৪ অগস্ট মধ্যরাতের পর আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালানোর ঘটনায় রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে ব্যাপারে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর, বর্তমানে তদন্তের দায়িত্ব সিবিআই এর হাতে। কিন্তু এই তদন্তভার সিবিআই নেওয়ার পর থেকে নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গত ৬ দিন ধরে লাগাতার ধৃত সঞ্জয় রায় ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেরা হচ্ছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি কতদূর হয়েছে সে বিষয়ে আদালতে কিছুই জানায়নি সিবিআই।

এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালত সময় বেধে দিল সিবিআইকে। প্রধান বিচারপতি জানান, ‘অভিযোগ উঠছে অধ্যক্ষ এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিলেন। এটা তো পরিষ্কার যে খুনের ঘটনা ঘটেছে।’ হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান বিচারপতি উষ্মা প্রকাশ করে জানান, ‘পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও সাত হাজার লোক কীভাবে হাসপাতাল ভাঙচুর করতে পারে? স্বাধীনতা দিবসে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ কী করছিল সেটা জানা দরকার।’

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *