সঙ্কেত ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় অস্বস্তির মুখে রাজ্য সরকার।এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের দেওয়া স্ট্যাটাস রিপোর্টে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় শীর্ষ আদালত। ‘চিকিৎসকের মৃত্যুতে জেনারেল ডায়েরি করা হয় সকাল ১০.১০ মিনিটে। রাত ১১:৩০ টায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হল? মাঝের সময়টায় কী হচ্ছিল?” প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি পারদিওয়ালা আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় যারপরনাই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি এদিন বলেন, “এই মামলায় রাজ্য সরকার যা করেছে, তা আমার ৩০ বছরের কেরিয়ারেও দেখিনি।”
রাজ্য সরকারের হয়ে এদিন সওয়াল করেছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। সিব্বলের মতো দুঁদে আইনজীবীকে এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বেঞ্চের চোখাচোখা প্রশ্নবানের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সকাল ১০.১০ মিনিটে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর জেনারেল ডায়েরি করা হলে রাত ১১:৩০ টার সময় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হল কেন? রাজ্যের আইনজীবীকে শীর্ষ আদালত এই প্রশ্ন করেছে।
শুধু তাই নয়, এদিন সিব্বলের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাহলে রাত সাড়ে ১১টার সময় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কেন রুজু করল পুলিশ? অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজুর আগেই ময়নাতদন্ত হয়ে গেল?”এ ব্যাপারে কপিল সিব্বলের দেওয়া সাফাই সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণযোগ্য নয় বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে।
এছাড়াও কলকাতা পুলিশের যে অফিসার ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ প্রথম নথিভুক্ত করেছিলেন তাঁকে এর পরের শুনানিতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, ওই পুলিশ অফিসারের কাছ থেকেই অপরাধ নথিভুক্ত করার আসল সময় জানা যাবে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের দেওয়ার টাইমলাইন নিয়ে এদিন বারবার প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।