সংবাদদাতা,ঝাড়গ্রাম:আরজি করের ঘটনার মাঝেই ঝাড়গ্রাম আদালতে নজির বিহীন সাজা ধর্ষনে অভুিযুক্তকে। নাবালিকা কে ধর্ষন এর ঘটনায় নজিরবিহীন ২২বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬মাস অতিরিক্ত জেলহেফাজত এর সাজা ঘোষনা করলো ঝাড়গ্রাম আদালত। আরজিকরে পড়ুয়া ডাক্তার কে ধর্ষন করে খুনের ঘটনায় চারদিকে আন্দোলন এর মাঝেই অপরাধীর চরম সাজার জন্য মঙ্গলবার অপরাজিতা আইন পাশ হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। আর তারি একদিনের মাথায় নাবালিকাকে ধর্ষন কান্ডে ঝাড়গ্রামে চরম শাস্তি ঘোষনা করলো ঝাড়গ্রাম এডিজে ২ এর মহামান্য বিচারক তন্ময় চট্টোপাধ্যায়। ২০২৩ সালের ২১ শে সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রামের মহিলা থানায় ঝাড়গ্রাম থানার ইন্দখাড়া গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেন দুধকুন্ডি এলাকার চৌকিচটি গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব পাত্র তার নাবালিকা মেয়ে কে ধর্ম শেখাবার নাম করে একাধিক বার ধর্ষন করে। পরে সন্তান সম্ভাবনা হয়ে যাওয়ায় নাবালিকাকে ভয় দেখাতে থাকে বলে অভিযোগ। এর পর ঐ নাবালিকা একটি পুত্রসন্তান এর জন্মদিলে বিষয় টি জানাজানি হয়। ঐ ব্যাক্তি কে বললে সে অস্বীকার করে এবং পাল্টা হুমকি দিতে থাকে। এরপরই এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয় ২০২৩ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর। ঝাড়গ্রাম মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের এর পরের দিনই অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করেন ঝাড়গ্রাম মহিলা থানার তদন্তকারি অফিসার প্রতিভা হালদার। দ্রুত কেসের নিষ্পত্তির জন্য তিনি ঝাড়গ্রাম আদালতে চার্জসিট জমা দেন ২০২৩ সালের ২৪ শে নভেম্বর। চার্জ ফ্রেম করা হয় ২০২৪ সালের ৯ ই জানুয়ারি। দোষী ব্যাক্তির ডিএনএ টেষ্ট করে দেখা যায় সে ই ওই নাবালিকার শিশুটির বাবা। এর পর মহামান্য বিচারক মঙ্গলবার অভিযুক্ত বাসুদেব পাত্র কে দোষী সাব্যস্ত করে বুধবার সাজা ঘোষনা করেন। বুধবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঝাড়গ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) সৈয়দ মহম্মদ মামদুল্লাহ হাসান বিষয় টি জানান।