আর্থিক প্রতারনার দায়ে সপুত্র গ্রেপ্তার প্রাক্তন পুরপিতা মানস রায়, মিলল না জামিন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর পুরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মানস রায় ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজ্যের শাসক দলের প্রাক্তন কাউন্সিলার ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মন্ত্রী ও সাংসদের নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। দুর্গাপুর-বর্ধমানের সাংসদ কীর্তি আজাদের নাম করে মোবাইল কেনার অভিযোগ উঠেছে ধৃত প্রাক্তন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের নাম করেও আর্থিক প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।জনৈক অভিযোগকারী মহম্মদ আসিফ জানান, অনলাইন একটি সাইটে নিজের গাড়িটি বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। তা দেখেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রাক্তন কাউন্সিলর। ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় গাড়িটি কাউন্সিলরকে তিনি বিক্রি করেন। চেকও দেন কাউন্সিলর। আর সেই চেক ভাঙাতে গিয়েই মাথায় হাত পড়ে আসিফের ।তার পর ওই ব্যক্তিকে একে একে ৬টি চেক দেন তিনি। ৬টি চেকই বাউন্স করলে থানার দ্বারস্থ হন তিনি ।অন্যদিকে দুর্গাপুরের এক নামি ফোনের দোকানের মালিকের দাবি, তাঁর দোকান থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি ফোন কেনেন মানসবাবুর ছেলে অভ্রনীল। বিধায়কের নাম করে বলেন, টাকা পরে মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু সেই টাকা আজও পাননি তিনি।
তবে পুলিশের দাবি, এর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ নেই। এটি একটি প্রতারণার ঘটনা। প্রশ্ন উঠছে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত না হলে কে ওই ব্যক্তিকে এত টাকা বাকিতে জিনিস দিত?
ধৃত মানস রায় ও তার পুত্রকে বুধবার আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের দুদিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে দুর্গাপুর পুর নিগমে শেষবার ভোট হয়েছিল তখন জনৈক বিধায়কের কল্যাণে কাউন্সিলার টিকিট পান বলে গুঞ্জন উঠেছিল শহরে । সেই নির্বাচনে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেছিলেন মানসবাবু। তার পর থেকে এই সব কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন তিনি বলেই অভিযোগ।