সঙ্কেত ডেস্ক: আজ ২০২৪-২০২৫ আর্থিক বর্ষের প্রথম দিন
আজ থেকে বাড়তে চলেছে ৮০০ ওষুধের দাম । কেন্দ্রীয় রসায়ন এবং সার মন্ত্রক, হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের বৃদ্ধির পাশাপাশি এর সাথে তাল তাল মিলিয়ে ওষুধের দামের মানও বেড়েছে।
এই ওষুধের তালিকায় আছে কিছু অতি প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলার-সহ প্রায় ৮০০টি ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। এমনই জানিয়েছে জাতীয় ওষুধ মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি (এনপিপিএ)। ফলে মধ্যবিত্তের পকেটে যে চাপ বাড়বে তা বলাই যায়।
জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) প্রতিবছরই ওষুধের পাইকারি মূল্য সূচক ঠিক করে। কোনও বছর সেই সূচক বাড়ে, কোনও বছর কমে। সেই নিরিখে চলতি অর্থবর্ষে ফের ওষুধের দাম বাড়ছে। তালিকায় রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যাজিথ্রোমাইসিন-সহ বেশ কিছু স্টেরয়েড, ভিটামিন, মিনারেল জাতীয় ওষুধ। হার্টের ওষুধের দামও বাড়তে চলেছে।ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ব্যথার ওষুধ -পেনকিলার, স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক। সুগার, কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, ভিটামিন, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়ার পাশাপাশি জানা যাচ্ছে প্রায় ৮০০ ওষুধের দাম বেড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত বছরের তুলনায়, এই বছরে ওষুধের দাম কম বৃদ্ধি হচ্ছে। কারণ ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের সুপারিশ মেনে, হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী ৭২৬ টি নানাধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে।
জানানো হয়েছে, সরকার বার্ষিক WPI পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওষুধ কোম্পানিগুলিকে দাম বৃদ্ধি করার প্রস্তাবে অনুমতি দিচ্ছে। বিশেষ বিষয় হল, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিকে ঢাল করে দীর্ঘদিন ধরেই ওষুধ প্রস্তুতকারক শিল্পের থেকে দাম বাড়ানোর দাবি করে আসা হচ্ছিল।
এবার তাতেই গ্রিন সিগন্যাল দিল সরকার। এনপিপিএ জানিয়েছে, জরুরি ওষুধের তালিকায় থাকা ওষুধের দাম ০.০০৫৫ শতাংশ বাড়ছে। ২০২৩ ও তারও আগে ২০২২ সালেও কিন্তু অত্যাবশকীয় ওষুধের দাম যথাক্রমে ১২ ও ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। উল্লেখ্য, অত্যাবশকীয় ওষুধের দাম বছরে মাত্র একবারই বৃদ্ধি করা যেতে পারে।