নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আর.জি.কর. হাসপাতালে নৃশংস ভাবে খুন হওয়া ডাক্তার তিলোত্তমা দেবী এবং তার পরিবারকে এবং এতদিন ধরে এইভাবে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া সমস্ত নিরপরাধ অসহায় মানুষদের উদ্দ্যেশ্যে নিজের সদ্য প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণার পি.এইজ.ডি. বা ডক্টরেট ডিগ্রী উৎসর্গ করলেন ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী । তাঁর কথায় শুধুমাত্র ডাক্তার তিলোত্তমা দেবী নন , যাদবপুরের স্বপ্নদীপ কুন্ডু, কামদুনির নির্যাতিতা, তাপসী মালিক, নিরপরাধ ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়, নেতাই, নন্দীগ্রাম, ধানতলা, বানতলা, মোরিচঝাঁপি, আনন্দমার্গী হত্যাকাণ্ড এই প্রতিটি হত্যাকাণ্ডে নরপিশাচদের হাতে প্রাণ হারানো নিরপরাধ মানুষদের প্রতি উনি ওনার শিক্ষা জীবনের সর্বোচ্চ ডিগ্রী উৎসর্গ করলেন । ওনার বক্তব্য আগামী দিনে আমি রিসার্চ থিসিস, সিনপসিস কপি এবং কিছু উপহার নিয়ে নবান্নে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাথে দেখা করতে চলেছি । আমার থিসিস এবং সিনপসিস কপি ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু এবং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কাছেও পাঠাবো। এছাড়া বাংলার মাননীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ মালা রায়, বিধায়িকা রত্না চ্যাটার্জি, প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশীষ চক্রবর্তী, ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা এবং সংঘের বিশিষ্ট কর্যবাহ ও সমাজের বহু বিশিষ্ট মানুষদের আমার সিনপসিস কপি এবং সামান্য কিছু উপহার নিয়ে দেখা করে প্রত্যেককে অনুরোধ করবো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটি অপরাধমুক্ত সুস্থ সমাজ গঠন করার জন্য আন্তরিক ভাবে সচেষ্ট হতে । কারণ আমার বিশ্বাস একটি নৃশংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক আখড়ায় পরস্পরকে দোষারোপ করলে কখনোই প্রকৃত অপরাধী শাস্তি পাবেনা । যেহেতু শুরুটা কাউকে কোথাও থেকে করতেই হতো তাই আমি চেষ্টা শুরু করলাম, দেখা যাক সবাই সেই ডাকে সাড়া দেন কিনা । তিনি আরো জানান ওনার গবেষণার বিষয় মূলত মাত্রাতিরিক্ত এন্টিবায়টিক ব্যবহার করার ফলে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় এবং এর ফলে যে ব্যাকটেরিয়া গুলোতে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট স্টেইন গড়ে ওঠার ফলে তারা আরো শক্তিশালী হয়ে মানুষের বেশি পরিমাণে ক্ষতি করতে শুরু করে । তার থেকে বাঁচতে প্রোবায়োটিক অর্থাৎ উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে কালচার করে খাদ্যাভ্যাসে এনে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে মানুষকে সুস্থ করাই মূলত এই গবেষণার কাজ যা কোন জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা রাজনৈতিক বিশ্বাসে সীমাবদ্ধ নয় । তিনি আরো বলেন যেহেতু বহু বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সংগীতশিল্পী, খেলোয়াড় বা সমাজসেবীর পরবর্তী জীবনে রাজনীতিতে প্রবেশ করার অনেক উদাহরণ আছে । তাই সম্পূর্ণ হার্ডকোর রাজনীতির মধ্যে থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এই সাফল্য একক সাফল্য নয়, এই সাফল্য সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে ভাগ করে নিতে চান ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী । চন্দ্রচূড় গোস্বামী ফ্রেন্ডস ফোরামের সদস্যরা ওনার সাফল্যে খুশি হয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় যে শুভেচ্ছা ব্যানার দিয়েছেন, ওনাদেরকেও আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি ।