রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১০ মার্চ
ব্রিগেডের সভাকে সাফল্য মণ্ডিত করার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডাক দেওয়া হয়েছে ‘জনগর্জন প্রস্তুতি সভা’। আসানসোল শিল্পাঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে ৪ ঠা মার্চ রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত হয় ‘জনগর্জন সভা’।
দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমে একশ দিনের কাজ প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ দেওয়া বন্ধ। একই অভিযোগে আবাস যোজনায় প্রাপ্য অর্থ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। দুর্নীতির তদন্তে একের পর এক কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্যে এলেও উদ্ভুত অভিযোগের কোনো সমাধান হয়নি। প্রাপ্য বরাদ্দের দাবিতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের কাছে চিঠি লেখেন। ফলাফল শূন্য। সেই পথ অনুসরণ করে একে একে রাস্তা সহ একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পেরও বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলার প্রতি লাগাতার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এবং বহিরাগত অত্যাচারীদের বিসর্জনের অঙ্গীকার নিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আগামী ১০ ই মার্চ ডাক দেওয়া হয় ‘ব্রিগেড চলো’।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ও প্রদীপ মজুমদার, আসানসোল পৌর নিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী, সাংসদ তথা লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা ও সুনীল মন্ডল, জামুড়িয়া বিধায়ক হরেরাম সিং তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাশু, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক,বিশ্বনাথ পারিয়াল, পৌরনিগমের এম এম আই সি গুরুদাস চ্যাটার্জী ছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, সহ অসংখ্য তৃণমূল কর্মী।
এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন,বিগত দশ বছরে দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্যে কিছু গড়ে তোলেননি। বদলে দেশের সব জিনিষই প্রায় বেচে ফেলেছেন। মানুষ এখন বিজেপির চালাকি বুঝতে পেরেছে। তাই আসানসোলের জন্যে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রার্থী নিজে পরাজয়ের ভয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেয়। একই সাথে তিনি বলেন ১০ মার্চ ব্রিগ্রেডে জনগর্জন সভাতে দলীয় কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রতিটি ওয়ার্ডের মহিলা কর্মীদের জন্যে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ বিজেপি রেল কেও রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে। দিল্লীতে ধরনা কর্মসূচিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ঘটনা দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। তবে এদিনের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, তাপস রায় পদত্যাগ করেছেন এটি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে রাজনৈতিক জীবনের অপরাহ্নে এসে তিনি ব্যক্তিগত মান অভিমানকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। একই সাথে মমতা ব্যানার্জীর মত নেত্রীর লড়াইয়ে তাকে মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে তিনি কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছেন। অন্যদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির অবসর গ্রহণ ও রাজনৈতিক দলে যোগদান প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এতে বিচার বিভাগ কালিমা মুক্ত হবে। কারণ তিনি বিচার পদ্ধতিতে রাজনৈতিক পরিচয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। যে কারণে তিনি সুপ্রিম কোর্টে ভর্ষিত হয়েছেন। সামনে লোকসভা নির্বাচন বলেই তিনি রাজনৈতিক দলে যোগদানের উদ্দেশ্যে বিচার পদ্ধতি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন।