তারক হরি, পশ্চিম মেদিনীপুর:
ওজোন স্তর নিয়ে নতুন আবিষ্কার। আইআইটি খড়্গপুরের গবেষকদের দাবি
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর নিয়ে এক যুগান্তকারী তথ্য উঠে এসেছে আইআইটি খড়্গপুরের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণায়। দীর্ঘদিন ধরে চলা গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, পৃথিবীর ওজোন স্তরে আগের চেয়ে অনেক কম ফুটো আছে।
আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক জয়নারায়ণণ কুট্টিপুরথের নেতৃত্বে গঠিত গবেষক দলের এক নতুন গবেষণায় ওজোন স্তর নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। তাঁরা দাবি করেছেন যে, আগের গবেষণাগুলোতে ওজোন স্তর সম্পর্কে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি হয়তো সম্পূর্ণ সঠিক নয়।
আগের গবেষণাগুলো সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ কিলোমিটারের মধ্যে বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণ করে। কিন্তু নতুন এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ১৫-২০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত গিয়েছেন।
উপগ্রহের মাধ্যমে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ এবং ওজোন স্তরের অবস্থা বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।৩০ ডিগ্রি সাউথ থেকে ৩০ ডিগ্রি নর্থ: এই বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে ওজোন স্তরের অবস্থা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে যে, ওজোন স্তর আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি সুস্থ। অর্থাৎ, ওজোন স্তরে ফুটোর সমস্যা আগের তুলনায় অনেক কম।গবেষণায় দেখা গেছে, ওজোন স্তরের গড় ওজোন ভ্যালু যদিও কিছুটা কমেছে, তবে এটি নিরাপদ সীমার মধ্যেই রয়েছে।
গবেষকদের মতে, এই নতুন তথ্যের পর, ওজোন স্তর নিয়ে আর চিন্তার কোনও কারণ নেই। পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র এবং মানুষের জন্য এই খবর স্বস্তির।ভয়ের কোনও কারণ নেই।
এই গবেষণা পরিবেশ সচেতনতার দিকে একটি নতুন দিশা দেখিয়েছে। পাশাপশি এই গবেষণা ভবিষ্যতে আরও গভীরভাবে ওজোন স্তর সম্পর্কে জানার জন্য একটি ভিত্তি তৈরি করেছে।
বলাইবাহুল্য, সকলের জন্য এই খবর স্বস্তির। ওজোন স্তর সুরক্ষিত থাকলে আমরা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে নিরাপদ থাকব এবং পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রও থাকবে সুস্থ।