সঙ্কেত ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারির ধকল সামলে উঠতে না উঠতেই এবার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নয়েডা থেকে গ্রেফতার করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। শনিবার আগ্রা থেকে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেফতার করেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে দুর্ঘটনার অভিযোগেই জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি কাউন্সিলর স্ত্রী চৈতালিকে নিয়ে আগ্রা যাচ্ছিলেন জিতেন্দ্র।
উল্লেখ্য গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ঠের ঘটনা ঘটেছিল। মারা গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। সেই ঘটনায় জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই যুমনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে এদিন গ্রেফতার করা হয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। এই ঘটনায় চৈতালি সহ আরও তিন জনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।এরআগে আদালতে হাজিরা দিতে জিতেন্দ্র ও চৈতালিকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কলকাতা হাই কোর্ট থেকে এই ব্যাপারে রক্ষাকবচও পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। কিন্তু বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সেই একই আবেদন নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন জিতেন। শুক্রবার তাঁর আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তার মাঝেই গ্রেফতার হলেন আসানসোলের ওই বিজেপি নেতা।
২ জনকে ট্রানজিট রিম্যান্ডে কলকাতা আনা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “গ্রেফতার না আটক সে তথ্য আমাদের কাছে নেই৷ তবে যে ঘটনা তারা শুরু করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কম্বল নিয়ে তাতে গ্রেফতার হওয়া উচিত। নিজেরা নিজেদের মতো করে বিশৃঙ্খলা করলেন। উদ্ধার কাজে সাহায্য করেননি। আগেই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। গ্রেফতার হওয়ার মতো অপরাধ ছিল।”অন্য দিকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এই মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। বিশেষ করে যখন তাঁর আগাম জামিনের আবেদন আদালতে বিচারাধীন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইন আদালত মানে না।