তারক হরি, পশ্চিম মেদিনীপুর:

আজ ষষ্ঠ দফার ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এদিকে সকাল থেকেই ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত কেশপুর থেকে নানান বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনার সামনে আসছে।কেশপুর আছে কেশপুরেই!
এবার অশান্তির ঘটনায় সরব ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেশপুর বিধানসভার একাধিক বুথে ছাপ্পার অভিযোগ তুললেন তিনি।
কেশপুরের ১নং অঞ্চলের শো বুথে সকাল থেকেই এই বুথে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ করে বিজেপি শিবির। এমনকি ওই এলাকায় বিজেপির পোলিং এজেন্টকেও বসতে বাধা দেওয়া হয়।এমনই অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান হিরন। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
কেশপুরের ৬ নং অঞ্চলের গার্ডরা এলাকাতেও বিজেপি প্রার্থীর সাথে পুলিশের একপ্রস্থ গন্ডগোল বাধে। হিরনের দাবি, তাকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিক থেকে জাওয়ানরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে এখানে। কোথাও স্বাভাবিকভাবে ভোট হতে দিচ্ছে না। ভাঙড়,কেশপুর পাকিস্থান বানিয়ে রেখেছে, ভোট লুঠে বাধা দেওয়ায় আমাকে তৃণমূলের গুণ্ডা বাহিনীরা বিভিন্ন এলাকায় আটকে দিয়েছে, এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ।

কেশপুর বিধানসভার ৬ নংজগন্নাথপুর ,৯ নং
আনন্দপুর, ৫ নং মুগবসান সহ একাধিক এলাকায় তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর সন্ত্রাস ও ছাপ্পার অভিযোগ তোলেন বিজেপি শিবির।
এদিন কেশপুরের মুগবাসন এলাকায় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে, গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখায় পাশাপাশি গো ব্যাক স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মীরা।পুলিশ কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে এমনটাই অভিযোগ এনেছে বিজেপি প্রার্থী।

পাশাপাশি কেশপুরের খেতুয়া তে এক সিপিআইএম এজেন্ট কে বসতে বাঁধা ও দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমুল নেতা প্রদূত পাজার বিরুদ্ধে! যদিও সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই তৃণমূল নেতা।

অন্য দিকে কেশপুরে অশান্তি প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক বলেন, প্রতিটি বুথে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। কেশপুরে নিশ্চিন্তে রক্তহীন ভোট হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতার।

ছবি – লাল জামা তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *