নিজস্ব প্রতিনিধি: খ্রীষ্টমাস মানেই শান্তার রূপকথা! শান্তা নাকি উপহার দিয়ে যায়। সেই উপহার পেয়ে ছোট-বড় ভীষণ আনন্দিত হয়। এবার সেই শান্তার ভূমিকায় পুরুলিয়ার একটি জনপ্রিয় সামাজিক সংস্থা উত্তরায়ণ -এক নতুন দিশা। পুরুলিয়া শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থিত নবকুষ্ঠাশ্রমের প্রত্যেক রোগীর কাছে তারা শান্তার ভূমিকায়। যদিও বড়োদিন গেছে পেরিয়ে, কিন্তু শেষ হয় নি খ্রীষ্টমাস সপ্তাহ। তাই এই খ্রীষ্টমাস সপ্তাহে ৩০ ডিসেম্বর, শনিবার দুপুরে উত্তরায়ণের প্রতিনিধি দল কুষ্ঠাশ্রমের প্রত্যেককে কম্বল উপহার হিসাবে বিতরণ করে। উত্তরায়ণের সম্পাদক ড. ব্রতীন দেওঘরিয়া জানান, ” কিছুদিন পর বিবেকানন্দের জন্মদিন। আর আমরা স্বামীজির আদর্শ মেনে পথ চলতেই এই উদ্যোগ। তিনি বলেছেন ‘জীবে প্রেম করে যেই জন / সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’। আমরা জীব সেবার মাধ্যমে আমাদের ব্রত এগিয়ে নিয়ে যেতেই এই পরিকল্পনা করি। একদিকে স্বামীজির আদর্শ অন্যদিকে ছোট থেকেই শান্তার কথা শুনে আসছি। তাই আমরাও ভাবলাম আমাদের সাধ্য অনুযায়ী যদি এই মানুষগুলির মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারি তো আমাদের ভালো লাগবে। তাই যাঁরা উত্তরায়ণকে ভালোবাসে, তাঁদের সহযোগিতায় কুষ্ঠাশ্রমের সকল মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি। এভাবেই মানুষের ভালোবাসা পেলে আগামীতে আরও অনেক কাজ করতে পারবো।” উত্তরায়ণের এই পরিকল্পনার প্রথম প্রস্তাব দেন সভাপতি ড. শ্রীনিবাস মিশ্র। পাশাপাশি এদিন সেই কুষ্ঠাশ্রমেই প্রকাশিত হয় উত্তরায়ণের ২০২৪ সালের বাৎসরিক ক্যালেন্ডার। এদিনের কাজে ড. ব্রতীন দেওঘরিয়া মহাশয়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সদস্যা রাণু রায়চৌধুরী, নন্দগোপাল মুখার্জি, শিউলি গরাই, তনুশ্রী গঁরাই সহ অনেকেই। নব কুষ্ঠাশ্রমে আশ্রিত মানুষেরা উত্তরায়ণের এই উদ্যোগে ভীষণ আনন্দিত এবং তারা এই উপহার পেয়ে উত্তরায়ণের আগামীতে পথ চলা যেন আরও মসৃণ হয়ে ওঠে এই প্রার্থনা জানায়।