সংবাদদাতা: বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের বড় চাতড়া গ্রাম ও নিমতলার মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে শালী নদী। এলাকার ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের মানুষের পারাপারের জন্য এই নদীর ওপর এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই একটি কংক্রিটের সেতুর দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন মহলে। তাদের এই দাবি পূরণ না হওয়ার জন্য এই শালী নদীর উপর গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল একটি অস্থায়ী কাঁচা রাস্তা। শালী নদীর বন্যায় এখন সেই রাস্তা জলের তলায়। স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছে এলাকার স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে কৃষক এবং মুমূর্ষ রোগীরা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত ছিল এই রাস্তা দিয়ে। রাস্তা জলের তলায় চলে যাওয়ায় রীতিমতো জীবন হাতের মুঠোয় নিয়েই পারাপার করে এলাকার মানুষজন। একইভাবে এদিন জলের স্রোতে ডুবে যাওয়া এই রাস্তা দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে হঠাৎ করেই জলে ডুবে যায় এক যুবক কোনক্রমে সাঁতরে প্রাণে বাঁচে সে। পাশাপাশি মাথায় সাইকেল নিয়ে পারাপার করতেও দেখা যায় এলাকার মানুষকে। স্থানীয়দের আরো দাবি ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার।
সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল ব্যানার্জি জানান ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ওই এলাকায় রাস্তা সহ ব্রিজ তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতির নেওয়া শুরু হয়েছে। এমনকি এস্টিমেট তৈরি হচ্ছে। এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধান হবে।
স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির দাবি ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা ওখানে একটি ব্রিজের অতি অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। এই এলাকায় ব্রিজ তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই তিনি বিধানসভায় দরবার হয়েছেন। দরবার হয়েছেন জেলাশাসকের কাছেও। এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধান হবে।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ ঝুঁকির যাতায়াত নিয়ে বলেন এটি আমাদের এখানে একটি সমস্যা, স্থানীয় সমস্যা। বর্ষার সময় এই ধরনের যাতায়াত খুব ঝুঁকির হতে পারে। কিছুদিন আগেই পাত্রসায়েরে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে আমরা সব মানুষকে অনুরোধ করব যাতে করে তারা এইভাবে বিপদজনকভাবে নদী বা খাদ পারাপার না করেন। সচেতনতার প্রচারের জন্য পঞ্চায়েতকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।