সঙ্কেত ডেস্ক: কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি দিল বারাণসী জেলা আদালত। জেলা বিচারক এ কে বিশ্বেষার নির্দেশে বলেছেন, ‘জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বারাণসীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে পূজা (প্রার্থনা) একজন পুরোহিতের দ্বারা করানো হবে। কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্ট এবং অন্য আবেদনকারীদের দ্বারা পশ্চিমে বিতর্কিত মূর্তিগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। প্লট নম্বর ৯১৩০, পুলিশ থাকা ও জেলা বারাণসীর ওই কাঠামোয় পূজা করা যাবে। এ জন্য সাত দিনের মধ্যে লোহা-সহ অন্যান্য জিনিসের মাধ্যমে ওই অংশের ব্যারিকেড করে দিতে হবে।’আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পুজোপাঠ করা, ভোগ দেওয়া, বেসমেন্টে যে মূর্তি রয়েছে সেটা যথাযথ রাখতে হবে ও লোহার বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এগুলি সাতদিনের মধ্য়ে করতে হবে। কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্ট বোর্ডের পুরোহিতের বিষয়গুলি দেখাশোনা করতে পারবেন।
জ্ঞানবাপী মসজিদ ভবনের ওপর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-এর সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশের ছয় দিন পরে আদালত বুধবার তার নির্দেশ দিল। তারও আগে বারাণসী জেলা আদালত এএসআইকে নির্দেশ দিয়েছিল, মসজিদটি একটি হিন্দু মন্দিরের কাঠামো ভেঙে তার ওপর নির্মিত হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত করতে। তার প্রেক্ষিতে এএসআই রিপোর্টে জানিয়েছে, ওটি আগে একটি মন্দির ছিল। আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে ১৭ শতকে মন্দিরটি ধ্বংস করা হয়। আর, সেই ভেঙে ফেলা কাঠামোই অদলবদল এবং পুনরায় ব্যবহার করে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এএসআই সিল দিয়ে তাদের মুখবন্ধ করা কভারে এমনটাই রিপোর্টে জানিয়েছে। এদিকে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক জ্ঞানবাপী মসজিদ সম্পর্কিত এএসআই রিপোর্ট হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষকেই জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কয়েকজন হিন্দুত্ববাদী মহিলা এই জ্ঞানবাপী মসজিদের নির্মাণ সম্পর্কে বিশদে জানতে চেয়ে আদালতে মামলা করেন। তাঁদের দাবি ছিল, ওই স্থানে অতীতে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। সপ্তদশ শতকে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে সেই মন্দির ভেঙে সেখানেই জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করা হয়।