সঙ্কেত ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে সম্পন্ন আস্থা ভোট । সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিলেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন ।ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়ে ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। হেমন্তের পদত্যাগের পর মহেন্দ্র সিং ধোনির রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন চম্পাই সোরেন। এরপর আজ, সোমবার চম্পাই সোরেনের সরকারকে আস্থা ভোটে যেতে হয়। বিজেপি দল ভাঙিয়ে আস্থা ভোটে বাজিমাত করতে পারে। এমন একটা খবর ছিল।২০১৯ ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ৮১টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM)-আরজেডি জোট ৪৭টি আসনে জিতেছিল। তার মধ্যে জেএমএম পায় ৩০টি, কংগ্রেস ১৬, ও আরজেডি ১টি। অন্যদিকে, বিজেপি পেয়েছিল ২৫টি, এবং তাদের সহযোগীরা ৭টি আসনে।সোমবার ঝাড়খণ্ডে আস্থা ভোটে জেএমএম-এর পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৭টি । এদিন, বিধানসভার স্পিকার আস্থা ভোট গ্রহণ করেন। চম্পইয়ের সমর্থনে ভোট দেন জেএমএম-এর সব বিধায়ক । বিপক্ষে উঠে দাঁড়ান ২৯ জন বিধায়ক । তারপরই ফলাফল পরিষ্কার হয়ে যায় । রাঁচিতে বিধানসভায় আস্থা ভোটে ৪৭-২৯ ফলে জয় পেল চম্পাই সোরেনের সরকার। করতালিতে ফেটে পড়ে বিধানসভা কক্ষ ।
এদিন আস্থা ভোটে অংশ নেনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন । উল্লেখ্য, জমি দুর্নীতির মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গত শুক্রবার আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল । শনিবার হেমন্ত আবেদন করেন, তাঁকে রাজ্য বিধানসভার আস্থাভেটে অংশ নিতে দেওয়া হোক। আদালতে সেই আবেদন মঞ্জুর করে ।সেইমতো এদিন বিধানসভায় পৌঁছন হেমন্ত । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই বিধানসভায় বক্তৃতাও দেন । আজ নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বলেন, ‘আমি কোনও কেলেঙ্কারি করেছি, তা প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে, রাজ্যপালের দিকে আঙুল তোলেন হেমন্ত । অভিযোগ, তাঁকে গ্রেফতারির পিছনে হাত আছে রাজভবনের ।