নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঝাড়গ্রামে ফের হাতির হামলায় আরো একজনের মৃত্যু, মৃত দেহ আটকে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রাম ব্লকের আঁধারিশোল গ্রামে হাতির হামলায় খগেন পাতর নামে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যাক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, অল্পের জন্য হাতির হামলার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যায় ওই এলাকার আরো চার জন। যার ফলে এলাকা জুড়ে হাতির হামলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হাতির হামলায় ওই ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীরা মৃত দেহ আটকে পুলিশ ও বন দফতরের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। গ্রামবাসীদের দাবি ঘটনাস্থলে বন দফতরের মন্ত্রী না আসা পর্যন্ত তারা মৃত দেহ তুলতে দেবে না। উল্লেখ করা যায় যে মাত্র ছয় দিনের মাথায় ঝাড়গ্রামে হাতির হামলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, সেই সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা একটি মহিলা হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে বন দফতরের উপর ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। উল্লেখ করা যায় যে গত ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের ঝাড়গ্রাম শহরের সত্যবান পল্লী এলাকায় হাতির হামলায় একজনের মৃত্যু হয়। ওই দিন ঝাড়গ্রাম শহরের রাজ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় পাঁচ টি হাতি ঢুকে পড়ে। সেই হাতির দল কে সরানোর জন্য হুলা টিমের সদস্যদের আনে বন দফতর। হুলা টিমের ছোঁড়া জ্বলন্ত লোহার রড একটি অন্তঃসত্ত্বা মহিলা হাতির পিঠে গেঁথে যায়। যার ফলে ওই মহিলা হাতি টি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ১৬ ই আগস্ট শুক্রবার মারা যায়। ১৭ ই আগস্ট শনিবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের পশরো গ্রামের বাসিন্দা চাঁদু খিলাড়ি নামে এক ব্যাক্তি হাতির হামলায় মারা যায়। যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির হামলায় প্রাণ হানির ঘটনা ও হাতির মৃত্যুর ঘটনা কে কেন্দ্র করে বন দফতরের উপর মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকে। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রাম ব্লকের আঁধারিশোল গ্রামে খগেন পাতর নামে একজন হাতির হামলায় মারা যায় এবং চার জন অল্পের জন্য হাতির হামলার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যায়। যার ফলে গ্রামবাসীরা মৃত দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু করেছে।