সংবাদদাতা,ঝাড়গ্রাম: এই বছর ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন দু জন প্রধান শিক্ষক। ওই দুই জন প্রধান শিক্ষক হলেন ঝাড়গ্রাম শহরের শতবর্ষ অতিক্রান্ত কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত এবং ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের জামবনি বাণী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ পাহাড়ি। আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন রাজ্য সরকারের তরফে ওই দুই জন প্রধান শিক্ষককে শিক্ষারত্ন সম্মান প্রদান করা হবে। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত শিক্ষক জীবন শুরু করেছিল ১৯৯৫ সালে। তিনি ইংরেজির স্নাতকোত্তর এবং বি এড। প্রথম জীবনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ভোলসারা দ্বারিকা নাথ হাইস্কুলে ইংরেজির সহ শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন। তারপর ২০০১ সালে জামবনি ব্লকের পড়িহাটি প্রগতি সঙ্ঘ জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। বিশ্বজিৎ বাবুর আমলে ওই বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নত হয়। ২০১৭ সালে ঝাড়গ্রাম নতুন জেলা হিসাবে ঘোষনার পর ঝাড়গ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তিনি চেয়ারম্যান হন। ছয় মাস পরে তিনি ওই পদ থেকে সরে ফের শিক্ষকতা জীবনে ফিরে যান। ২০২১ সালে উৎসশ্রী পোটালের মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ভার নেন। শিক্ষারত্ন সম্মানে পুরস্কৃত বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত বলেন এই সম্মান শুধু আমার নয় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী, প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া সকলেই এই পুরস্কারের ভাগীদার। অপর দিকে জামবনি বাণী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক হিসাবে অমিতাভ পাহাড়ি জামবনি বাণী বিদ্যাপীঠ এর পরিকাঠামো সহ সার্বিক উন্নতির বিষয় টি শিক্ষা দপ্তরের প্রশংসা পেয়েছে। ২০১১ সালে তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দেন। তাই ঝাড়গ্রাম জেলার দুই জন শিক্ষারত্ন পুরস্কারে সম্মানিত হওয়ায় খুশি ওই দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী, ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকার বাসিন্দারা।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *