সঙ্কেত ডেস্ক: সন্দেশ ঘটনায় গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত। বুধবার রাতে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। আজ আদালতে শাহজাহানকে ধবধবে সাদা পোশাক পরে হাজির হতে দেখা যায়। তাঁর পায়ে ছিল স্নিকার্স। এদিকে তাঁকে নিয়ে আসা পুলিশকর্মীরা ছিলেন তাঁর ‘পিছনে’। মুখে কিছু না বললেও শাহজাহান যেন আঙুল নেড়ে আজ দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা।
ইডির ওপর হামলার মামলায় গ্রেফতার করা হয় শেখ শাহজাহানকে। এহেন পরিস্থিতিতে শাহজাহানকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে চান সরকারপক্ষের আইনজীবী। এদিকে রাজ্য পুলিশের তরফে শাহজাহানকে ‘প্রভাবশালী’ তকমা দেওয়া হয়। এই আবহে শেষ পর্যন্ত শাহজাহানকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠায় আদালত।
এর পরই বসিরহাট আদালত থেকে শাহাজাহান আনা হল কলকাতার ভবানী ভবনে, রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তরে। তাঁকে এখানে নিয়ে আসেন পুলিশবাহিনী।কার্যত সংবাদমাধ্যমের চোখে ধুলো দিয়ে বসিরহাট থেকে বেরিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ঘটকপুকুর, ভোজেরহাট পেরিয়ে সায়েন্স সিটি পেরিয়ে শাহজাহানকে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়।তাঁকে আনার জন্য গোটা রাস্তা যানবাহন শূন্য করে দেওয়া হয়েছিল।‘গ্রিন করিডর’ করে শাহজাহানকে নিয়ে ভবানী ভবনে পৌঁছয় রাজ্যপুলিশ।সেখানেই আগামী ১০ দিন তাঁকে রাখা হবে। দফায় দফায় তাঁকে জেরা করবে রাজ্য পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা।
উল্লেখ্য এদিন সকালে রাজ্য পুলিশের এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছিলেন, বুধবার রাতে মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা শাহজাহানকে। তার পর বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে সোজা নিয়ে আসা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতের লকআপে। সেখানেই কিছু ক্ষণ রাখা হয়েছিল শাহজাহানকে। শাহজাহানের গ্রেফতারির পর ফের নিরাপত্তার চাদড়ে মুড়ে ফেলা হয় সন্দেশখালিতে। রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৪৯টি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।