নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর
দাসপুর ভোররাতের অগ্নিকাণ্ডে যখন দাউ দাউ করে জ্বলছে গোটা কারখানা, যখন শ্রমিকরা হাউ হাউ করে কাঁদছেন কি হবে তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে, তখন কলকাতায় বসে ফেসবুকে দুঃখের পোস্ট শেয়ার করে দায় সারছেন ঘাটালের সাংসদ। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের রসিকগঞ্জে অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি একটি ধুপ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে এমনই করলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ। হিরন আরো বলেন এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দায়ভার কোনভাবেই এড়াতে পারেন না রাজ্যের দমকলমন্ত্রী এই ঘটনা তার পদত্যাগ করা উচিত। প্রসঙ্গত,বুধবার রাত
দুটো নাগাদ লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডপুড়ে ছারখার হয়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের রসিকগঞ্জের একটি বেসরকারি ধূপের কারখানা।এটি জেলার অন্যতম বৃহৎ ধূপের কারখানা ছিল। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ঘাটাল দমকল অফিসের দুটি ইঞ্জিন। পরিস্থিতি ভয়াবহতার কারণে কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকল বিভাগের বিভিন্ন স্টেশন থেকে কটন অস্তলে এসে পৌঁছায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত স্টেশন থেকে দমকল বিভাগের পাম্প ইঞ্জিন এবং কর্মীরা।
দমকলের 6টি ইঞ্জিন আর ১২টি পাম্প ঘটনাস্থলে পৌঁছেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে হিমশিম খায়।বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাতে হিমসিম খেতে হয় দমকল বাহিনীকে ।তবে কি কারণে এই অগ্নিকাণ্ড তা এখনো নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না দমকল বিভাগ এবং পুলিশ বিভাগের কর্মীরা। প্রসঙ্গত জেলার অন্যতম বড়ো ধূপের কারখানা হবার কারনে এই কারখানার উপরে নির্ভর করে জীবনজীবীকা চলত হাজার হাজার মানুষজনের।
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকল এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মহকুমার মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভূঁইয়া। জেলাশাসক নিজে ও এই বিষয়ে খোঁজ খবর শুরু করেন এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন ওই কারখানা চত্বরে রাস্তা অত্যন্ত সরু হওয়ার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসে পৌঁছাতে সমস্যায় পড়ে দম কর ল বাহিনীর লোকজন যার কারণে ভয়াবহতা আরও বেশি হয়ে দাঁড়ায়। দ্রুত রাস্তা চওড়া না করলে ভবিষ্যতে আরও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে এমনটাই তারা আশঙ্কা করছেন।
ঘটনার ভয়াবহতায় আতঙ্কে ভুগছে গোটা গ্রাম।