নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দিল্লি পাবলিক স্কুল, দুর্গাপুর ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস, অত্যন্ত উৎসাহ ও দেশাত্মবোধের সাথে স্মরণ করেছে। প্রধান অধ্যক্ষ মহাশয় শ্রী উমেশচন্দ জয়সওয়াল এবং সম্মানীয় প্রধান অতিথি কর্নেল (ডঃ) এস কে পট্টনায়কের উপস্থিতিতে তিরাঙ্গা পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে এই বিশেষ দিনটির সূত্রপাত হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। কর্নেল পট্টনায়েক একজন শ্রদ্ধেয় আর্মি ডাক্তার। তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের ১৮৯ সামরিক হাসপাতালে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে কর্মরত।

পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা একটি অসাধারণ নৃত্য পরিবেশন করা হয় যা সকলের মধ্যে আশাবাদ এবং ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দেয়।

অনুষ্ঠানটি স্কুলের AVR এ অনুষ্ঠিত হতে থাকে। এখানে পরিবেশিত উদ্বোধনী সংগীতটি দেশপ্রেমের চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করে, আমাদের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। অধ্যক্ষ মহাশয়ের বক্তব্য তরুণদের মধ্যে স্বাধীনতার বোধ জাগিয়ে তোলে।

এরপর স্বাধীনতা আন্দোলনের এক তরুণী বীরাঙ্গনা যিনি “বাংলার প্রথম নারী শহীদ” হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, সেই বিপ্লবী জাতীয়তাবাদী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার তার আশ্চর্যজনক বীরত্বপূর্ণ কাজের মাধ্যমে সকলের মনে ছাপ ফেলে গেছেন। তিনি দেশ ও জাতির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

তারপর ছিল বীর এবং সাহসী বিপ্লবীদের আত্মত্যাগকে অভিবাদন জানিয়ে বুলবুলের একটি অসামান্য উপস্থাপনা। এই উপস্থাপনায় চিত্রিত হয়েছিল সেইসব সৈন্যদের বীরত্ব, যারা সর্বদা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

দুটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক আন্দোলন ভারতছাড়ো এবং চিপকো আন্দোলন, যা জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বন সংরক্ষণের ওপর অবিশ্বাস্য প্রভাব ফেলেছে, সেই আন্দোলন দুটির উপর শিক্ষার্থীদের চিত্তাকর্ষক পরিবেশনা দর্শকদের মধ্যে দেশপ্রেমের অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে সকলকে সংবেদনশীল করে তোলে।

অনুষ্ঠানটিতে দেশাত্মবোধের উচ্ছ্বাস চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায় গানের মিডলেতে মনমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে। কলাকুশলীদের অসাধারণ নৃত্যশৈলী এবং তিরঙ্গা সংমিশ্রিত আড়ম্বরপূর্ণ পোশাক সকলকে মুগ্ধ করে।

সম্মানীয় প্রধান অতিথির উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে সুশোভিত করে তুলেছিল। তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি তাঁর উষ্ণ অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। শিক্ষার্থীদের, কাঙ্খিত স্বাধীনতাকে উপলব্ধি করতে এবং প্রগতিশীল জাতির উদ্দেশ্যে ক্রিয়াশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

হেড গার্ল রিতিকা কুমারীর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে আমরা অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাই। এই বিশেষ দিনটির উপস্থাপক হিসাবে – আয়ুস ক্যালভিন, আরিবা খান, বিদ্যা মিশ্র এবং অর্পিত রাজ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এবং দেশপ্রেমের আবেগে রাঙিয়ে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *