সঙ্কেত ডেস্ক: আজ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ছাত্র সমাজের মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগেই হাওড়া ব্রিজে পুলিশের প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে রাজ্যের সব জায়গা থেকে আনা হয়েছে পুলিশ। এই অভিযান ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা করছে পুলিশ। সেকারণে নবান্নকে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। অলিগলিতে গার্ডরেল, বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জল কামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি, এজেসি বোস রোড, কলেজ স্কোয়ার এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য মোট ৬ হাজার পুলিশকর্মী শহরের রাস্তায় মোতায়েন থাকছে। তবে নবান্ন অভিযানের এই সাজসাজ রবের মধ্যে বাধ সেধেছে নাগাড়ে বৃষ্টি। আজ পুলিশের আশঙ্কা, মহিলা ও পড়ুয়াদের সামনে রেখে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ করে তোলার চেষ্টা হবে। তাই গোয়েন্দা–সহ পুলিশের সব বিভাগকে সতর্ক করা হয়েছে।
হাওড়ার দিকে নবান্নে যাওয়ার পথে চার জায়গায় লোহার ব্যারিকেড তৈরি করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের ধাক্কায় যাতে সেগুলি উপড়ে না যায়, তাই রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বড় লোহার পাইপের সঙ্গে ব্যারিকেডগুলি ঝালাই করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদীদের ঠেকাতে মজুত রাখা হচ্ছে পাঁচটি জলকামান। পাঁচ জায়গায় মোতায়েন থাকবে কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী। নজরদারি চলবে ড্রোনের মাধ্যমেও। পুলিশ সূত্রের খবর, মিছিলের সম্ভাব্য পথগুলিতে থাকছে ১০০টি অতিরিক্ত ক্যামেরা।
অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা সাফ জানিয়েছেন, এই কর্মসূচির কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ এটি আইনত বৈধ নয়। নবান্ন সংরক্ষিত জায়গা। এখানে কোনও কর্মসূচি করতে গেলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু সোমবার বিকাল পর্যন্ত কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে সন্ধ্যায় ইমেল এলেও তাতে অনুমতি চাওয়ার প্রসঙ্গ নেই।
তবে, অভিযান ঘিরে হাওড়া থেকে কলকাতায় আসার পথে যাত্রীদের সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আজ ইউজিসি-র নেট পরীক্ষা আছে। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য প্রশাসন কিছু পদক্ষেপ করেছে।