সঙ্কেত ডেস্ক: অশোভনীয় আচরণের অভিযোগে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে। চলতি অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে আর অংশ নিতে পারবেন না তিনি।রাজ্যসভায় সাসপেন্ড ডেরেক ও’ব্রায়েন। রাজ্যসভায় হাঙ্গামার জন্য অবশিষ্ট অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা দলনেতাকে।বৃহস্পতিবার অধিবেশন শুরু হতেই নিরাপত্তার গদল নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান তিনি। তারপরেই অসংসদীয় আচরণের কারণে তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যসভা। গোটা অধিবেশন থেকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে।

পাশাপাশি বুধবার ১৩ ডিসেম্বর সংসদে ২ যুবকের ঢুকে পড়া ও হলুদ ধোঁয়া স্প্রে করে তাণ্ডব চালানোর ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা ইস্যুতে উত্তাল হয় লোকসভা। বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে পর পর স্লোগান তোলেন। উত্তাল হয় লোকসভা। তার জেরে লোকসভা থেকে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হয় মোট ১৪ সাংসদকে।সংসদে নিরাপত্তা ইস্যুতে বিরোধীরা স্লোগান তোলেন। প্রাথমিকভাবে সাসপেন্ড হন ৫ কংগ্রেস সাংসদ। পরে আরও ৯ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। যে সমস্ত সাংসদরা সাসপেন্ড হয়েছেন লোকসভা থেকে, তাঁরা হলেন- মহম্মদ জেঙাদ, ভিকে শ্রীকন্দন, মণিকম ঠাকুর, পিআর নটরাজন, এস ভেঙ্কটেশন। এই কংগ্রেস সাংসদরা ছাড়াও সিপিআইয়ের কে সুব্রায়ান ও ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝিকে সাসপেন্ড করা হয়।পাশাপাশি সংসদের নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে বিরোধী দলীয় হাঙ্গামার জন্য উভয় সদনের কাজ দুপুর ২টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত বুধবার লোকসভার অদিবেশন চলাকালীন সেখানে ২ যুবক প্রবেশ করেন। ক্যানিস্টার হাতে নিয়ে ওই ২ যুবক যখন লোকসভায় প্রবেশ করে ছুটে যান, তাঁরা স্প্রে করতে শুরু করেন। যার জেরে হলুদ রঙের ধোঁয়ায় ভরে যায় সংসদ ভবন। যা নিয় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে লোকসভার অন্দরে। ওই ঘটনার জেরে হুলুস্থূল শুরু হলে, এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে রাষ্ট্রদোহের মামলা।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *