বিশেষ প্রতিনিধি: রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে সারা দেশ যখন উত্তাল তখন পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া অঞ্চলের অযোধ্যা পাহাড়ের ওপর সীতারাম মন্দির স্থাপন করার ডাক দিয়েছে অখিলভারত হিন্দুমহাসভা । হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য অযোধ্যা যদি প্রভু রামচন্দ্রের জন্মস্থান হয় তাহলে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় তাঁর কর্মভূমির একটি অংশ । অযোধ্যা থেকে কিস্কিন্ধা যাওয়ার সময় তৃষ্ণার্ত সীতা দেবীকে জল দেওয়ার জন্য রামচন্দ্র তীর নিক্ষেপ করে যে জলাশয়ের সৃষ্টি করেন সেটিই সীতাকুন্ড নামে পরিচিত । হিন্দু মহাসভার কাছে এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে সনাতনী হিন্দুদের আবেগ রাম মন্দিরের পুনঃনির্মাণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে মাত্র কয়েক হাজার মানুষ যারা সরকার ঘনিষ্ঠ বা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব তাদেরই শুধু ডাকা হয়েছে অথচ সাধারণ মানুষ এই অনুষ্ঠানে থেকে যাবেন ব্রাত্য । আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব লালকৃষ্ণ আডবাণীজি, মুরলীমনোহর যোশীজি, উমা ভারতীজিদের যথোপযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে না । রামমন্দির আন্দোলনের মূল পিটিশনার এবং ভার্ডিকট হোল্ডার সংগঠন অখিলভারত হিন্দুমহাসভাকে ডাকাও হয়নি এবং হিন্দু মহাসভার নাম যাতে কোনো ভাবেই জনসমক্ষে না আসে তার জন্য তাকে হিন্দুপক্ষ বলে নামটি আড়াল করার চেষ্টা চলছে । প্রভু রামের মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠাতে হিন্দু মহাসভা অত্যন্ত খুশি কিন্তু একথাও সত্য হিন্দু মহাসভা কোনো ভাবেই চায়না রামমন্দির আন্দোলনকে ভোট রাজনীতির স্বার্থে কেউ বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করুক । রামমন্দির এই বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধেই অখিলভারত হিন্দুমহাসভা ওই ২২সে জানুয়ারী তারিখেই পুরুলিয়ার অযোধ্যাপাহাড় অঞ্চলে সীতা কুণ্ডের পবিত্র জল নিয়ে ওই স্থানে সীতারাম মন্দির স্থাপন করার জন্য সংকল্প পূজার আয়োজন করতে চলেছে । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হিন্দু মহাসভা দেবীসীতা এবং প্রভু রামকে একসাথে রেখেই সীতারাম মন্দির স্থাপন করতে চায় । সীতাদেবীকে বাদ দিয়ে শুধু রামমন্দির স্থাপনে তারা পক্ষপাতী নয়। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিকে এবং রাজ্যপালকে পাশে থাকার জন্য আহবান জানিয়ে ১৭ই জানুয়ারী আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে লিখিত আবেদনপত্র দিতে চলেছে অখিলভারত হিন্দুমহাসভা।