তারক হরি, পশ্চিম মেদিনীপুর

পুলিশের অত্যাচারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ডেবরার বিজেপি কর্মী সঞ্জয় বেরার জেল হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে উচ্চ আদালতে আইনি সহায়তা সহ সিবিআই তদন্তের দাবিতে ফের সরব হয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় তৃনমূল দুর্বৃত্তদের হাতে আক্রান্ত ও ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মীদের সর্বত্র ভাবে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ডেবরায় বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বুধবার দুপুর তিনটে নাগাদ বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু বলেন, “যিনি একসময় দেশ মাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন, পশ্চিম বাংলায় আজ তাঁর এই পরিণতি হল। এই রাজ্যে গণতন্ত্র সংবিধান সবই কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল। তারা যদি ভাবে যে ৪৫% ভোট পেয়ে ৩৯% ভোট পাওয়া পার্টি কে এইভাবে শেষ করে দেবো, তাহলে তারা ভুল করবে! আমরাও বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রেখে গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করবো।
উল্লেখ্য, গত ৪ ই জুন লোকসভা নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তাপ ছিল রাজ্য জুড়ে। সেদিন সেই উত্তাপের রেশ ছড়িয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা এলাকায়।
ওই দিন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই ডেবরায় সংঘর্ষে জড়ায় শাসক দল তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীরা। সেই ঘটনায় ডেবরার পুরুষোত্তম নগর থেকে চার বিজেপি কর্মীকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।তাদের মধ্যে সঞ্জয় বেরা নামে এক বিজেপি কর্মী তথা প্রাক্তন সেনা কর্মীকে গ্রেফতার করে। তাঁর জেল হেফাজত হয়। জেলে থাকাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সঞ্জয়। এরপর তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে মেদিনীপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়। তারপর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আবারও তাঁকে পিজি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সাত দিন পর মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়।
পরিবারের দাবি পুলিশের গাফিলতির কারণে মৃত্যু হয়েছে সঞ্জয় বেরার। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন পরিবার।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *