সঙ্কেত ডেস্ক: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত।
পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনাবসান। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব।আজ সকালে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সিপিএমের এই প্রবীণ নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শেষমেশ আজ সকালে বাড়িতেই প্রয়াত হয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালেও তিনি প্রাতঃরাশ করেন। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ও দেননি। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধদেব। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল তাঁর। জানা গেছে, গত তিন দিন ধরেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। বুধবার রাতেও চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে যান। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না বলেই খবর।
প্রসঙ্গত ১৯৬৬ সালে সিপিআইএমে যোগদান করেন বুদ্ধবাবু। একে একে সিপিএমের রাজ্য কমিটি পেরিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হলেন।১৯৭৭ সালে কাশীপুর থেকে প্রথমবার বিধায়ক হন তিনি। প্রথম বাম সরকারে দায়িত্ব পান তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের। এর পর দীর্ঘদিন ওই দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০০০ সালে জ্যোতি বসু অবসর নিলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন বুদ্ধবাবু। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে পরাজয়ের পর সক্রিয় রাজনীতি থেকে ক্রমশই দূরে সরে যেতে থাকেন বুদ্ধদেববাবু। বুদ্ধদেব মুখ্যমন্ত্রিত্বে তাঁর পূর্বসূরি জ্যোতি বসুর মতোই মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন।