সঙ্কেত ডেস্ক: একের পর এক দুর্নীতিতে গত কয়েক বছরে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহড়ুতে প্রশাসনিক সভায় দলের গ্রেফতার হওয়া নেতানেত্রীদের নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ চক্রান্ত করে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পিছনে বিজেপিকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই পাশাপাশি সরকারি সভামঞ্চ থেকে এদিন ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেছেন কেন্দ্রের এজেন্সিগুলিকেও।। “সব ব্যাপারে তৃণমূল। গরুও তৃণমূল, কয়লাও তৃণমূল, ময়লাও তৃণমূল, গাছের ঘাসও তৃণমূল? তৃণমূলকে দেখলে ভয়ে পায়, কাঁপে।” কেন্দ্রের শাসকদলকে একহাত নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহড়ুর প্রশাসনিক সভা থেকে এভাবেই সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।“সারদার মালিককে ২০১২ সালে আমরাই গ্রেফতার করেছি। ২০০ কোটি টাকা গরিব মানুষকে ফেরতও দিয়েছি। এজেন্সিরা সম্পত্তি সব নিয়ে নিলেন ওদের। সেগুলো বেচে গরিব লোককে আজ পর্যন্ত টাকা ফেরত দিয়েছে? আজ পর্যন্ত দেয়নি। চিটফান্ডকে এনেছিল সিপিএম। সিপিএমের একটা কেউ গ্রেফতার হয়নি। সব ব্যাপারে তৃণমূল। গরুও তৃণমূল, কয়লাও তৃণমূল, ময়লাও তৃণমূল, গাছের ঘাসও তৃণমূল। কাপড়ে কালি পড়লেও বলছে তৃণমূল।”
এদিন এরই পাশাপাশি আবারও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও সরব মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “কেন্দ্র থেকে ৭৬টি টিম রাজ্যে এসে দেখে যাওয়ার পরেও টাকা দিচ্ছে না। সব প্রকল্পে বিজেপির লোগো লাগাতে বলছে। আমাদের রাজ্যের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে অথচ ঘর তৈরির টাকা দিচ্ছে না। ভারত-পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো লাগাতে পারি, বিজেপির লোগো লাগাব কেন?” তাঁর দাবি,প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেই অধরা বাংলার টাকা। আর সেই কারণে এখনও থমকে ১০০দিনের কাজ ও আবাস যোজনার বাড়ি। একইসঙ্গে দাবি করলেন সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস মামলায় নৈতিক জয় হয়েছে তৃণমূলের। তিনি জানান,বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তাঁর দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে জোর করে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই মহুয়া ছিলেন বিলকিস মামলার অন্যতম পার্টি।