নিজস্ব প্রতিনিধি: বিবেকানন্দের জন্মদিন ১২ই জানুয়ারী জাতীয় যুব দিবসে রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর উদ্যোগে অখিলভারত হিন্দুমহাসভা আয়োজন করতে চলেছে একটি অভিনব ফুটবল টুর্নামেন্ট “বিবেকানন্দ ফুটবল ট্রফি” । সম্প্রতি ফুটবল এবং ভগবত গীতা নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল “লক্ষ্যকণ্ঠে গীতাপাঠ” অনুষ্ঠানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে, অখিলভারত হিন্দুমহাসভার পক্ষ থেকে এটি তারই সামাজিক উত্তর হতে চলেছে বলে অখিলভারত হিন্দুমহাসভার বক্তব্য । বিজয়গর ময়দানে ১২ ই জানুয়ারী বিকেল তিনটে থেকে বিজয়গর ফুটবল ট্রেনিং সেন্টার এবং স্টার স্পোর্টটিং ক্লাবের মধ্যে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে । আয়োজক অখিলভারত হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য “কিছু অর্বাচীন ব্যক্তি স্বামী বিবেকানন্দের বাণীর গুরুত্ব না বুঝতে পেরে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছে । ফুটবলকে যারা বেশি গুরুত্ব দেন তারা কমিউনিষ্ট প্রোডাক্ট হতে যাবেন কেন ? বরং স্বাধীনতার প্রাক্কালে বাঙালিকে সমস্ত অলসতা কাটিয়ে শরীরচর্চার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ । স্বামীজির কথার মর্মার্থ হলো ফুটবল বা খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর সুস্থ রাখতে পারলে তবেই সেই ব্যক্তি ভাগবত গীতার সারমর্ম বা জীবনদর্শন গ্রহণ করতে পারবেন ।” অখিলভারত হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য আজকের দিনেও শারীরিক সুস্থতা ও চরিত্র গঠনের জন্য ফুটবল খেলা ও গীতাপাঠ সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ন । অখিলভারত হিন্দুমহাসভার পক্ষ থেকে বিজয়ী ও বিজিত দলকে ট্রফির সাথে ভারতের সংবিধান, ভগবত গীতা এবং রামায়ণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে । রামায়ণ দেওয়ার কারণ হিসেবে আগামী 22সে জানুয়ারী হিন্দু মহাসভার পশ্চিমবঙ্গের “অযোধ্যা পাহাড় চলো” কর্মসূচিকে সম্ভবত সামনে আনতে চাইছে হিন্দু মহাসভা । এই ফুটবল টুর্নামেন্টটি আয়োজন করার ক্ষেত্রে চন্দ্রচূড় বাবু রাজ্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও ক্রীড়া মন্ত্রক, অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলো এবং ডক্টর সুদর্শন, অনামিকা দে, শ্রাবণী মুখার্জী সহ অখিলভারত হিন্দুমহাসভার সমস্ত সহযোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।