নিজস্ব প্রতিনিধি: ধরে নয় ঝড়ো ব্যাটিং সুরু করলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।বিগত পাঁচ বছরের চেনা জমিতে এবার আর ভোট যুদ্ধে নেই দিলীপ ঘোষ। দলের নির্দেশে তাঁকে লড়তে হচ্ছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসন থেকে।প্রচারে ঝাঁপিয়ে ফের চেনা ছন্দে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম সফল প্রাক্তন সভাপতি। বরাবর ই বেলাগাম দিলীপ ঘোষ তার প্রচারের দ্বিতীয় দিনেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের বেলাগাম আক্রমণ শানালেন। প্রচারের ফাঁকেই মঙ্গলবার তিনি বলেন, ”উনি গোয়ায় গিয়ে বলেন, ‘আমি গোয়ার মেয়ে’। ত্রিপুরায় গিয়ে বলেন, আমি ‘ত্রিপুরার মেয়ে’। আরে বাপ তো আগে ঠিক করুন। যার তার মেয়ে হওয়া ঠিক নয়।” শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পিতৃপরিচয়তেই সীমাবদ্ধ ছিল না তাঁর আক্রমণ। অভিষেকের উদ্দেশে দিলীপ বলেন, “উনি যার হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলেন, তাঁর পা টলছে। ঘরের লোক ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিচ্ছে। এবার বাংলার লোক কখন ফেলে দেবেন উনি বুঝতেও পারবেন না।” অর্থাৎ এবারও তাঁর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনা।

দিলীপের এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর তৃণমূল।আরও একবার দিলীপকে ‘নারী বিদ্বেষী’ তকমা দিয়ে আক্রমণ শানাল জোড়-ফুল শিবির। দলের এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের পোস্ট, ‘বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের নামে কলঙ্ক! মা দুর্গার বংশকে চ্যালেঞ্জ করার পর উনি এখন শ্রীমতীর বংশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি নৈতিক দেউলিপনার নোংরা গভীরতায় ডুবে গেছেন।সএকটি বিষয় স্পষ্ট: হিন্দুধর্মের শ্রদ্ধেয় দেবীই হোক বা ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী- বাংলার মহিলাদের জন্য ঘোষের কোনও সম্মান নেই।মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রীর পূর্বপুুরুষ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন! কী নির্লজ্জ! উনি সবসময়ে বাংলার মহিলাদের অপমান করেন। এবার মানুষ তার জবাব দেবেই।”।রাজ্যের শাসক দলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ছি দিলীপ ঘোষ! ছি! এরকম রুচিহীন এবং কুৎসিত কথাবার্তা বিজেপি নেতাদের মুখেই মানায়। কী চাইছেন আপনারা? জনগণের সমর্থন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। জননেত্রী তিনি। জনগণ আপনাদের দিকে নেই। দিলীপ ঘোষ, আপনার পার্টি আপনাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে, গলাধাক্কা দিয়ে আপনার মেদিনীপুর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।”নতুন বিজেপি (নেতারা, যাঁরা দলবদলু বিজেপি, তাঁরা গিয়ে আপনাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন। সেখানে কথা বলার ক্ষমতা নেই আপনার। মানসিক অবসাদ থেকে নিজের হতাশাটা বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি করে। কাহি পে নিঘায়ে, কাহি পে নিশানা।’

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *