নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর:
চলন্ত গাড়ি থেকে ১০ কোটি টাকার আইফোন হাপিস হয়ে যায়। যদিও এ ঘটনা কয়েক মাস আগের। ঘটনার পরেই পরিবহন সংস্থার তরফে ডেবরা থানায় এফআইআর দায়ের হলেও কোনও কূলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ, এমনটাই দাবি পরিবহন সংস্থার। এরপর গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পরিবহন সংস্থাটি।

পরিবহন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ২৬ শে সেপ্টেম্বর সুদূর চেন্নাই থেকে দামি আইফোন ভর্তি প্রায় 10 কোটি টাকা মূল্যের ফোন বোঝাই গাড়িটি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ওই গাড়ির গতি বিধির ওপর নজরদারি চালাতে অত্যাধুনিক জিপিএস সিস্টেম চিফ লাগানো হয়েছিল। যাতে করে জিপিএস ট্র্যাক করে কোনরকমের অসংলগ্নতা লক্ষ্য করলেই সংস্থাটি গাড়িতে থাকা চালক এর সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
ওই পরিবহন সংস্থার দাবি, গাড়িটি নির্দিষ্ট নিয়ময়েই দামী ফোনের বাক্স প্যাক করেই বিভিন্ন রাজ্য ছাড়িয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিল। কিন্তু বাদ সাধে গাড়িটি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতেই।
ট্র্যাকিং মনিটরিং এ ওই ওই পরিবহন সংস্থাটি জানতে পারে ওড়িশা বর্ডার পেরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরার নতুন বাজার সংলগ্ন এলাকায় ১৬ নং জাতীয় সড়কের পাশে একটি পেট্রোল পাম্পে দীর্ঘক্ষণ বিরতি নেয়।
এই সন্দেহজনক ঘটনার পরেই পরিবহন সংস্থার তরফে ওই গাড়ির চালক ও খালাসির সাথে ফোন মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে,তাদের কোনও খোঁজ না মেলায় , তড়িঘড়ি ডেবরা থানার সাথে যোগাযোগ করা হয়।
এদিকে খবর পেয়েই ডেবরা থানার পুলিশ সংস্থার বর্ণিত স্থানে গিয়ে খালি গাড়ি উদ্ধার করে।পাশাপাশি ওই গাড়ির চালক এবং খলাসির কোনও খোঁজ মেলেনি।
অনুমান, চলন্ত অবস্থাতেই ওই গাড়ি থেকে দামি আইফোন গুলি হাপিস করা হয়েছে।
রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় এই লুটের ঘটনাটি চলন্ত গাড়িতেই হয়েছিল ! নাকি পরিকল্পনা মাফিক ছিল? তাজ্জব বিচারপতি থেকে আইনজীবীরাও!
ওই সংস্থার তরফে আইনজীবীর দাবি, প্রথমে পুলিশ এ ঘটনার এফআইআর নিতে অস্বীকার করে। পরে ১০ই অক্টোবর এফআইআর দায়ের হয়। তারপরেও এই লুটের ঘটনায় অধরা রয়েছে মূল চক্রি বা লুটতরাজরা।
এরপর সংস্থার তরফে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় পরিবহন সংস্থাটি।৮ই জানুয়ারি সেই মামলার পরিপেক্ষিতে বিচারপতি খোদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপারকে গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *