নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর
শুধুই কি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান? তিন দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা ঘাটাল! কোথায় সাংসদ উঠছে প্রশ্ন! ইতিমধ্যেই ভেঙে গিয়েছে সাত সাতটি বাঁশের সাঁকো। শুধু বৃষ্টি নয় কচুরিপানার চাপে ভেঙে গিয়েছে পাঁচটি গ্রামের সংযোগকারী সাতটি সেতু। শনিবার এলাকা পরিদর্শনে আসেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বইছে ঝুমি নদীতে। ছোট্ট নদী এখন হয়ে উঠেছে রাক্ষসে। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে জল। দুদিন আগেও পার হওয়া যেত নদী। সেখানে পা দিলেই, স্রোতের টানে ভেসে যাওয়ার জোগাড়।
গত ২-৩ দিনের প্রবল বৃষ্টিতে ঘাটাল মহকুমার ঝুমি নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। যার ফলে এই সমস্ত এলাকার প্রায় ১২টি কাঠের ব্রিজ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গা এখন জলমগ্ন।মনসুকা সহ ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের যাতায়াতের ভরসা এখন নৌকা।
ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় ১২টি কাঠের ব্রিজ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। যার ফলে মানুষ বিপদগ্রস্ত। তবে সমগ্র পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
এদিকে বন্ধ হয়েছে একাধিক সরকারি স্কুলের পড়াশোনা। ২০২১ সালে ঝুমি নদীর উপর ভগবতী সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। শুধু সাংসদ কেন, প্রশাসনের কোন আধিকারিকরাই ভগবতী সেতু নিয়ে মুখ খোলেননি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
তবে কি মাস্টার প্ল্যান এর মতন এই সেতুর প্ল্যান বন্ধ হয়ে গিয়েছে মাঝপথে! প্রশ্ন তুলছেন এলাকার মানুষ।
স্থানীয়দের মতে,এই সেতু তৈরি হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিধি আরো বৃদ্ধি পেত। কিন্তু সেতু না হওয়ায় সাধারণ মানুষকে বারবার বিপর্যয়ের ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে।
যদিও অন্যান্য বছরের মতন এবার এখনও ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কিন্তু আগামী দিনে বন্যা হলে তার দায় কে নেবে? শুধুই মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আওয়াজ উঠছে সংসদে! নির্মীয়মান ভগবতী সেতুর ভবিষ্যৎ কি জানেন না ঘাটালবাসী।