তারক হরি, পশ্চিম মেদিনীপুর
বর্ষা এলেই রাস্তার আতঙ্কে ভোগেন এলাকার মানুষ! জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে এলাকাবাসীর। হাঁটু কাদা ভেঙে নিত্য ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকাবাসীকে। আর কেউ অসুস্থ হলে বা মুমূর্ষকে বাঁচাতে তাই চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাঁশের মাচা।
এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের ৭ নং গোবর্ধনপুর অঞ্চলের কুলতাপাড়া গ্রামের ঘটনা।
গ্রামের এক বাসিন্দা জানান,”আমাদের দাবি, অবিলম্বে এলাকায় পোক্ত বা কংক্রিটের রাস্তা করে দেওয়া হোক। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা আমরা বারংবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। রাস্তার শুরুর কয়েকশো ফুট মাত্র পাকা হয়েছে। দীর্ঘ ৩ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা বেহাল। বর্ষা পড়লেই ছাত্রছাত্রী সহ যাতায়াতকারী এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে মুমূর্ষ মানুষ বা রোগীকে বাঁশের তৈরি মাচাতে করে নিকটবর্তী চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়। প্রাণ বাঁচাতে একমাত্র মাচাই ভরসা।
আরেক বাসিন্দা জানান, “আমরা বহু বছর ধরে এই রাস্তার সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি। বর্ষাকালে তো রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। আর যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে তাকে একমাত্র মাচায় করে নিয়ে যেতে হয়। এম্বুলেন্স তো দূরের কথা, কোনো গাড়িই এই রাস্তায় আসতে পারে না।”
গ্রামের প্রায় ২৫০টি পরিবার এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। বর্ষাকালে তাদের জীবন যুদ্ধে পরিণত হয়। তাঁরা দাবি করছেন, অবিলম্বে এই রাস্তাটি পাকা করার ব্যবস্থা করা হোক।
অন্যদিকে পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জানিয়েছেন ওই রাস্তার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।