Sharing is caring!

সঙ্কেত ডেস্ক: বস্ত্র শিল্পের বিকাশে দেশে ৭টি মেগা পার্ক গড়ে তোলা হবে। এই কর্মসূচিটি প্রধানমন্ত্রী মেগা ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল রিজিয়নস্‌ অ্যান্ড অ্যাপারেল পার্কস্‌ অর্থাৎ ‘পিএম মিত্র পার্ক’ নামে পরিচিতি লাভ করবে। তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে ‘পিএম মিত্র পার্ক’ গড়ে তোলার কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বস্ত্র শিল্পের সার্বিক বিকাশ ও উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘৫-এফ’ দৃষ্টিভঙ্গীর কথা তুলে ধরেছেন। এই ৫টি ‘এফ’ এর ব্যঞ্জনা হ’ল – ফার্ম টু ফাইবার টু ফ্যক্টরি টু ফ্যাশন টু ফরেন। ভারতকে বস্ত্র উৎপাদন ও রপ্তানির একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র রূপে বিশ্বের সামনে তুলে ধরাই প্রধানমন্ত্রীর এই দৃষ্টিভঙ্গীর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আশা করা হচ্ছে যে, এই পার্কগুলি বস্ত্র শিল্পে উন্নয়নমুখী প্রতিযোগিতাকে বিশেষভাবে উৎসাহদান করবে। শুধু তাই নয়, বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান এই কর্মসূচি রূপায়ণের সুবাদে ভারতকে তাদের একটি উৎপাদন কেন্দ্র রূপেও বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে।

দেশের ১৩টি রাজ্য থেকে পিএম মিত্র পার্ক গড়ে তোলার জন্য ১৮টি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। তার মধ্য থেকে ৭টি রাজ্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই পার্ক স্থাপনের জন্য। বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করেই ঐ ৭টি রাজ্যকে পার্ক স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়।

পিএম মিত্র পার্কগুলিতে বিশ্বমানের শিল্প পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এজন্য প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ সহ বড় আকারের অর্থ লগ্নির বিষয়টিকেও উৎসাহিত করা হবে। একই সঙ্গে, উৎসাহদান করা হবে উদ্ভাবন প্রচেষ্টা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উপরও। সমগ্র কর্মসূচিটি রূপায়িত হবে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে। পার্ক পিছু মূলধনী সহায়তা যোগানো হবে ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়াও, বস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামুখী মানসিকতাকে উৎসাহদান করার জন্য পার্ক প্রতি ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হবে। পার্কগুলিতে জল ও বিদ্যুতের যোগান এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বর্তাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির উপর। এই পার্কগুলির মাধ্যমে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ও ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *