নিজস্ব প্রতিবেদক: শিল্পাঞ্চলের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে হিন্দু বাঁচাও কর্মসূচি। ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তাল। দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শেখ হাসিনা। বলা যেতে পারে অভিভাবকহীন বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশ জুড়ে ভাঙচুর, মারধর, অগ্নিসংযোগ লেগে রয়েছে। আর এর জেরে আওয়ামী লীগের কর্মীদের যেমন অত্যাচার হচ্ছে তেমনি অত্যাচার হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ধর্মীয় স্থানে অগ্নিসংযোগ ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। তার আঁচ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। বলা যেতে পারে ওপার বাংলার আঁচ এপার বাংলাতেও আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সেই একই ছবি ফুটে উঠলো আসানসোলের শিল্পাঞ্চলে। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায় তাদের। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচার আর সেই কারণেই এই প্রতিবাদ বলে জানা যায়।

এদিন এক আন্দোলনকারীর অভিযোগ বাংলাদেশে যে সমস্ত হিন্দুরা রয়েছে তাদের সুরক্ষা দিতে হবে। পাশাপাশি এদেশের সরকারকেও অবগত হতে হবে বাংলাদেশে থাকা হিন্দুদের সুরক্ষার বিষয়ে। না হলে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এই প্রতিবাদ আন্দোলন গর্জে উঠবে। কার্যত ওপার বাংলার ছাত্র আন্দোলন তারপরে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। সেই আঁচ এবার ধীরে ধীরে এপার বাংলায় পড়তে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির শুরুটা হয়েছিল কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ। তাদের দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য কোনো ক্ষেত্রেই ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখা যাবেনা। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে একাধিক ছাত্র নিহত হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে। সেনাবাহিনী নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। জারি করা হয় কারফিউ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইণ্টারনেট পরিষেবা।

সেইসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর চাপ বাড়তে থাকে। শোনা যায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও নাকি পদত্যাগের জন্য হাসিনার উপর চাপ দিতে থাকে। যদিও তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে রাজি ছিলেননা। কিন্তু দেশের সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষের চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগ পত্র পেশ করে বোনকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটা নাগাদ নিজের বাসভবন থেকে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে চেপে নিজের দেশ ছাড়েন।

এদিকে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নেমে আসে অন্ধকার। হামলা চালানো হয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর।বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অমানবিক জেহাদী অত্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল।হিন্দু জাগরণ মঞ্চ পক্ষ থেকে।মিছিলটি শুরু হয় আসানসোলের গির্জা মোড় থেকে হটন রোড হয়ে আশ্রম মোড় শনিমন্দির পর্যন্ত।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *