সঙ্কেত ডেস্ক: বাংলার বকেয়া পাওনার দাবিতে বুধবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের ৯ জন সাংসদের এক প্রতিনিধি দল। দিল্লিতে বৈঠক শেষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,আমাদের সাংসদ সদস্যসহ দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যের বকেয়া তহবিল ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খুব শীঘ্রই কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের আধিকারিকদের মধ্যে এই বিষয়ে যৌথ বৈঠক হবে।মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন- ‘আবাস যোজনাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ফিন্যান্স কমিশনের টাকাও দেওয়া হচ্ছে না।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন- ‘আবাস যোজনাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ফিন্যান্স কমিশনের টাকাও দেওয়া হচ্ছে না।’ ‘কেন্দ্র এবং রাজ্যের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গড়ার কথা বলেছেন মোদী। তারা গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। তার পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আমি বলেছি, যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তবে আমাদের বলুন। এতবার কেন্দ্রীয় দল এসেছে, এত বার ব্যাখ্যা দিয়েছি। আবার দেব। কিন্তু গরিবদের টাকা আটকে রাখবেন না।’

মমতা বলেছেন,’প্রধানমন্ত্রী মন দিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন। উনি জানিয়েছেন, সময় বেঁধে সমাধানের পথ খোঁজা হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বলেছিলেন, কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠকের একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকা উচিত। সময়ের মধ্যে যেন আলোচনা শেষ হয়। নইলে বাংলার গরিব মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে বঞ্চিত হচ্ছেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, হ্যাঁ সময় বেঁধে সমাধানের পথ খোঁজা হবে।’ এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’

উল্লেখ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিসাব অনুযায়ী বাংলার বকেয়া পাওনার অঙ্ক ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা। তাঁর দাবি বকেয়ার দাবিতে এর আগে তিন বার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিও লিখেছেন। তাতে কাজ হয়নি। পরে ওই দাবিতেই দিল্লিতে গিয়ে ধর্না আন্দোলন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। কলকাতায় রাজভবনের সামনেও সেই ধর্না চলেছে। কিন্তু স্পষ্ট কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি। সেদিক থেকে এই প্রথমবার কোনও সমাধানের পথ বাতলালেন প্রধানমন্ত্রী। যাকেই ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *