সঙ্কেত ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ধ্বনিভোটে পাস হয়ে গেল অপরাজিতা নারী ও শিশু পশ্চিমবঙ্গ অপরাধ সংশোধনী বিল ২০২৪। এই বিলের বিরোধিতা করেনি বিরোধীপক্ষ। ফলে সর্বসম্মতিতেই বিলটি পাস হল।
কেন্দ্রের ন্যায় সংহিতায় সংশোধন ঘটিয়ে ধর্ষণ, গণধর্ষণ এবং নারী ও শিশুদের উপর যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে এই প্রথম পৃথক বিল পাস করল দেশের কোনও রাজ্য।বিলে বলা হয়েছে যে ধর্ষণের মামলার তদন্ত প্রাথমিক রিপোর্টের ২১ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে, আগের দুই মাসের সময়সীমা কমানো হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, “থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের দ্বারা নথিভুক্ত করা তথ্যের তারিখ থেকে ২১ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করা সম্ভব না হলে, উল্লিখিত সময়সীমা আরও ১৫ দিনের বেশি বাড়ানো যাবে না। পুলিশ সুপার বা সমতুল্য পদের নীচে নয় এমন কোনও পুলিশ অফিসারের দ্বারা ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩-এর ধারা ১৯২ এর অধীনে রক্ষিত কেস ডায়েরিতে লিখিত কারণগুলি লিপিবদ্ধ করা হবে।”সংশোধনীতে এ ধরনের মামলার জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করা হয়েছে। “তদন্তকে ত্বরান্বিত করতে এবং নির্যাতিতাদের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে, এই বিলে নিবেদিত বিশেষ আদালত এবং তদন্ত দল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বিশেষায়িত ইউনিটগুলি প্রয়োজনীয় সংস্থান এবং দক্ষতার সঙ্গে সজ্জিত হবে নারীদের ধর্ষণ এবং শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ঘটনাগুলিকে দক্ষতার সঙ্গে, কার্যকরভাবে এবং সময়মত পরিচালনা করার জন্য, যার ফলে নির্যাতিত এবং তাঁদের পরিবারের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা লঘু করা যায়,” খসড়া বিলে বলা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, নারী ও শিশুদের উপর ধর্ষণ বা নৃশংসতার ঘটনা তদন্তের জন্য একটি “অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স” গঠন করা হবে। এতে বলা হয়েছে যে এই অপরাধের তদন্তের জন্য জেলা পর্যায়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে এবং একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ এর নেতৃত্বে থাকবে।
তবে বিলটি বিধানসভায় পাস হলেও, আইন হিসেবে সেটি কার্যকর হতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষর প্রয়োজন। তাঁদের অনুমোদন পেলে তবেই আইনে পরিণত হবে ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’।