সঙ্কেত ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ । প্রতিবেশী দেশের আগুনে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। “বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের কথা মতো চলবে রাজ্য, প্ররোচনায় পা দেবেন না। আইন হাতে তুলে নেবেন না।” বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অশান্তির আগুন জ্বলছে বাংলাদেশে। প্রতিবেশী দেশের জ্বলন্ত পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন শেখ হাসিনা । যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন হাসিনা। ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন হাসিনা। ‘বাংলাদেশে আপাতত অন্তর্বতী সরকার’, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এমনই জানিয়েছেন সে দেশের সেনাপ্রধান। বাংলাদেশের নাগরিকদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।
এদিকে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে গভীরভাবে নজর রাখছে ভারত সরকার। পড়শি দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বাংলাদেশ ইস্যুতে তিনি এদিন বলেছেন, “বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্র যেভাবে বলবে সেভাবে চলবে রাজ্য। কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। শান্তি বজায় রাখুন। উস্কানিমূলক মন্তব্য করবেন না। আইন হাতে তুলে নেবেন না।”
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনুরোধ করছি, দয়া করে করে এমন কোনও কিছু পোস্ট করবেন না যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এখানে নষ্ট হয়। সব দলের নেতাদের বলব এটা দেশের উপর ছেড়ে দিন। আপনারা এমন কোনও কমেন্ট করবেন না যাতে হিংসা ছড়াতে পারে। সকলেই আমাদের ভাইবোন।”
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, “ভারত একটা দেশ। বাংলাদেশ একটা দেশ। পড়শি রাজ্য, দেশে যাই হোক তা পাশের রাজ্য বা দেশে পড়েই। সেক্ষেত্রে শান্ত থাকতে হবে। বাংলাদেশের ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। দুই দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য হোক। শান্তি রক্ষা করা হোক।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি চলছে, তা বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এবং ভারত সরকার দেখে নেবে। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে বলবে আমরা সেভাবেই কাজ করব।”

পশ্চিমবঙ্গের এক বিরাট সীমান্ত বাংলাদেশের সঙ্গে। এরাজ্যে চিকিৎসা বা অন্যান্য প্রয়োজনে নিয়মিত বাংলাদেশ থেকে যাতায়াত করেন সেখানকার নাগরিকরা। কোনওভাবে যাতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনা এরাজ্যে কোনও অশান্তির কারণ না হয় সেকথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী এই আবেদন করেন।সোমবার বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। জনতার লাগাতার বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন তিনি। হাসিনা দেখ ছাড়তেই বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *