সঙ্কেত ডেস্ক: ভারতে পৌঁছলেন সেখ হাসিনা। এদেশে নামতেই তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ থেকে হাসিনার হেলিকপ্টার প্রথমে ত্রিপুরায় অবতরন করে। তারপরে ভারতীয় বায়ুসেনার C-130 J বিশেষ বিমানে নিয়ে আসা হয় নয়াদিল্লিতে। তবে নয়াদিল্লিতে এলে হাসিনাকে কোথায় রাখা হবে, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। কারণ নিরাপত্তাগত কারণেই সেই বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে।
হিংসার আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা এখন পুরোপুরি হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করছে বিক্ষোভকারীরা। অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। অশান্তি-সংঘর্ষে বাংলাদেশে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।দিকে হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, রাজনৈতিক হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলাদেশ। দেশে এক অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। দেশের জনসাধারণকে সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি । পাশাপাশি তিনি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সর্বদল বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলেও ভাষণে জানান তিনি।
এদিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। পেট্রাপোল-বেনাপোল, হিলি, চ্যাংরাবান্ধা, মেহদীপুর ও ফুলবাড়ি সহ একাধিক সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। গেদে সীমান্ত দিয়েও বন্ধ রয়েছে রেল চলাচল। বাংলাদেশে অভুত্থানের জেরে বহু মানুষ বিশেষত হিন্দুরা ওদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে বিজিবির সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেছেন বিএসএফ। সীমান্তবর্তী প্রতিটি জেলায় পুলিশ প্রশাসনেও বেড়েছে তত্পরতা। অনুপ্রবেশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এস-ডিএসপি পর্যায়ে চলছে লাগাতার বৈঠক।