সঙ্কেত ডেস্ক: মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজের উপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে আজ,
দুর্গাপুরে বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নেবে প্রহীত দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই,ভাংচুর চালান হয় দুর্গাপুর বাস স্ট্যান্ডের এসবিএসটি কাউন্টারে।
অন্য দিকে বুধবার রাজ্যজুড়ে বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টা বাংলা বনধে ধুন্ধুমার পরিস্থিতিতৈরি হল মানকুন্ডু স্টেশন চত্বর। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়, হয় লাঠিচার্জ।একই অবস্থা পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ে। প্রথমে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা দলীয় পতাকা হাতে জাতীয় সড়ক ধরে একটি মিছিল বের করেন এবং এই বনধকে সমর্থন করেন।অন্যদিকে,তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় পতাকা হাতে বিজেপির বনধকে ভন্ডুল করার দাবিতে জাতীয় সড়ক ধরে আরেকটি মিছিল বের করেন। সে সময় বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন একে অপরে।
বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় রণক্ষেত্র ভাটপাড়া। অর্জুন সিংয়ের অনুগামী এবং সোমনাথ শ্যামের অনুগামীরা সম্মুখ সমরে। বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। উত্তেজনার জের অবরুদ্ধ ঘোষপাড়া রোড। হিন্দমোটর স্টেশনে বিক্ষোভকারী বিজেপি ও তৃণমূল দুই পক্ষের সংঘর্ষে মাথা ফাটল বিক্ষোভকারীদের। সকাল থেকেই বিজেপির ডাকা বাংলা বনধে্ শোরগোল শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
দেগঙ্গায় বনধের সমর্থনে মিছিল বের করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পাল্টা তাঁদের উপর চড়াও হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাঁরা সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পুলিশের সামনেই ব্যাপক মারামারি হয়।
গড়িয়াহাটে বনধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি। পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায় গড়িয়াহাট থানায়।
বাংলা বনধকে কেন্দ্র করে আসানসোল রানীগঞ্জে বিজেপি-তৃণমুলের মধ্যে সংঘর্ষ, সংঘর্ষের মধ্যে মাথা ফাটল সাংবাদিকের, আহত অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক।হাওড়া ময়দান চত্বরে বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনা। হাওড়া পঞ্চাননতলায় বিজেপি কর্মীরা জোর করে দোকান বন্ধ করার চেষ্টা করলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বাধা দেন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি শ্রী রাহুল সিনহা এবং প্রাক্তন সাংসদ ও রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হল শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড় থেকে।
ভোর ৬টা থেকেই জেলায় জেলায় রেল অবরোধ বিজেপির। সকাল ছ’টা নাগাদ বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা আসেন বনগাঁ স্টেশনে। তারপর তারা রেল স্টেশনে অবরোধ করে দেন।সকাল থেকেই বনধ সমর্থকদের অবরোধের জেরে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা। পাল্টা পথে নামে তৃণমূল। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ করে রেল অবরোধ তোলে। ফের স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।