নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: ভারত বর্ষের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল অখিলভারত হিন্দুমহাসভার প্রতিনিধি মন্ডল আগামী ২১সে ফেব্রুয়ারী সন্দেশখালি যাচ্ছে রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে । সন্দেশখালিতে নারীদের প্রতি যে সামাজিক অপরাধের অভিযোগ উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে তা নিজের চোখে সরজমিনে দেখতেই যাচ্ছেন তাঁরা । চন্দ্রচূড় বাবুর বক্তব্য আমরা বিশ্বাস করি “জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী” । অর্থাৎ প্রসঙ্গ যখন মাতৃশক্তি এবং দেশমাতৃকার সম্মান রক্ষা তখন রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে কোনো রকম মতপার্থক্য এবং পারস্পরিক কাদা ছেটানো অভিপ্রেত নয়। সন্দেশখালিতে একদিকে নারী নির্যাতনের যে তথ্য উঠে আসছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও লজ্জা দেয় । আবার অন্যদিকে ওখানকার অধিবাসীদের অন্য অংশ সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলছেন সবটাই সাজানো,বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত এবং এর ফলে পৃথিবীর কাছে সন্দেশখালির সম্মানহানি হচ্ছে । প্রশ্ন হচ্ছে কোনটা ঠিক ? একই ঘটনা নিয়ে এত পরস্পর বিরোধী তথ্য উঠে আসবে কেন ? হিন্দুমহাসভার প্রতিনিধি দল রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে এবং শ্রীমতী শ্রাবণী মুখার্জীর তত্ত্বাবধানে কোনো শোনা কথায় বিশ্বাস না করে নিজের চোখে সরজমিনে পরিস্থিতি দেখে তারপর তারা রাজ্য সরকার, মানবাধিকার কমিশন এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । একটু পরের দিকে হিন্দু মহাসভা আসছেন কেন তার উত্তরে চন্দ্রচূড় বাবুর স্পষ্ট বক্তব্য শুধু সন্দেশখালি কেন পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে নারী নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটলে হিন্দুমহাসভা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে । তবে এটাও ঠিক আমরা আগুন জ্বালানোর বদলে আগুন নিভিয়ে যাতে অত্যাচারিত ব্যক্তিরা সঠিক বিচার পান তার পক্ষের মানুষ । আমরা ঠিক করেছি আগামী লোকসভা নির্বাচনে অন্যান্য রাজনৈতিক দল যখন ভোটে জেতার জন্য সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করবে তখন হিন্দু মহাসভা পশ্চিমবঙ্গ ঠিক করেছে তারা সন্দেশখালির কোনো প্রান্তিক মহিলা প্রতিনিধিকেই প্রার্থী করবে যাতে সারা ভারতবর্ষ জানতে পারে সন্দেশখালিতে ঠিক কি ঘটেছে । সন্দেশখালির খেটে খাওয়া মেহনতি বুভুক্ষু কোনো এক গাঁয়ের বধুই আমাদের প্রতিনিধি যে অন্য কোনো রাজনৈতিক শক্তির প্রভাবে না এসে সত্য কথা সবার সামনে তুলে ধরবে বলে আমাদের বিশ্বাস ।