তারক হরি, পশ্চিম মেদিনীপুর:

বৃহস্পতিবার সকাল ন’টায় প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। আশি দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশিত হল। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৯ লক্ষ ২৩০০০১৩ জন পড়ুয়া।এদের মধ্যে ছাত্র ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৯৯৪। এবং ছাত্রীর সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ১৭১৯ জন। চলতি বছর পাস করেছে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন। এবং অকৃতকার্য হয়েছেন ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭১৩ জন। অর্থাৎ অসফল হয়েছেন প্রায় ১৪ শতাংশ। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে অসদুপায় অবলম্বন করে ৪৮ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। গত বছর পরিসংখ্যানে ১ লক্ষ ১১ হাজার ছাত্রছাত্রী ফেল করেছিলেন। তবে এবার সংখ্যাটা ১.৫ লক্ষের বেশি।
তবে এবার মাধ্যমিকে প্রথম ১০ এর তালিকায় ৫৭ জন। তার মধ্যে অখন্ড মেদিনীপুর জেলায় প্রথম দশে স্থান অধিকার করেছে মোট ১২ জন কৃতিমান ও কীর্তিময়ী।পশ্চিম মেদিনীপুরের ৪ জন,পূর্ব মেদিনীপুরের ৭ জন,ঝাড়গ্রামের ১ জন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৪ চার পড়ুয়ারা হলেন- (১) কৌস্তভ সাহু (ষষ্ঠ স্থানাধিকারী) যাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮, মেদিনীপুর কলেজিয়েট বয়েজ স্কুলের ছাত্র।
(২)তনুকা পাল (অষ্টম স্থানাধিকারী)যাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬,মেদিনীপুর মিশন গার্লসের ছাত্রী।

(৩)ধৃতিমান পাল (নবম স্থানাধিকারী)যাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫,মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র।
(৪)অগ্নিভ পাত্র (দশম স্থানাধিকারী)যাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪,মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনের ছাত্র।চারজনই মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা।

মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থানাধিকারী কৌস্তভ সাহু র বাড়ি মেদিনীপুর শহরের ধর্মা এলাকায়।বাবা মা সূর্যেন্দু বিকাশ সাহু ও মৌসুমী মন্ডল সাহু দুজনেই শিক্ষকতা করেন।
সূর্যেন্দু বাবু জানান,প্রতিদিন গড়ে ৯/১০ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতো কৌস্তভ। ছেলে যে ভালো রেজাল্ট করবে, সে আশা করেছিলাম। তবে প্রথম দশের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান পেয়ে আমাদের সকলকে চমকে দিয়েছে। জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে,আমরা অত্যন্ত খুশি।মেধাবী কৌস্তভ জানিয়েছে,ভবিষ্যতে সে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়।

অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৪ জনের মধ্যে মেধাতালিকায় অষ্টম স্থান এবং জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে মেদিনীপুর মিশন গার্লস হাই স্কুলের তনুকা পাল।তার বাড়ি মেদিনীপুর শহরের বিধাননগর এলাকায়। বাবা দেবব্রত পাল সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, মা নিবেদিতা পাল গৃহবধূ ।

তনুকার মা নিবেদিতা দেবী জানান, প্রতিদিন ৫-৬ ঘন্টা মন দিয়ে পড়াশোনা করতো সে।পড়াশোনা ছাড়াও নাচ, গান এবং অঙ্কনেও পারদর্শী তনুকা।
মেধাবী তনুকা জানিয়েছে, পড়াশোনার ওপর বেশি চাপ কখনোই নিয় নি। আমার সাফল্যে গৃহ শিক্ষক ছাড়াও স্কুলের আবদান যথেষ্ঠ আছে।তবে, এতটা ভালো রেজাল্ট হবে আশা করিনি। সেও আগামী দিনে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চায়।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *