তারক হরি, পশ্চিম মেদিনীপুর

শুক্রবার রাত্রি প্রায় ১২ টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরার নিজ গ্রামে পৌঁছয় বিজেপি কর্মী সঞ্জয় বেরার মৃতদেহ।

এদিন সঞ্জয়ের দেহ পৌঁছতে ই কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীরা। পাশাপাশি এদিন নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাস সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বরা। তাঁরা সঞ্জয়ের মরদেহ পুষ্প ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ ই জুন লোকসভা নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তাপ ছিল রাজ্য জুড়ে। সেদিন সেই উত্তাপের রেশ ছড়িয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা এলাকায়।
ওই দিন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই ডেবরায় সংঘর্ষে জড়ায় শাসক দল তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীরা। সেই ঘটনায় ডেবরার পুরুষোত্তম নগর থেকে চার বিজেপি কর্মীকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।তাদের মধ্যে সক্রিয় বিজেপি কর্মী প্রাক্তন সেনা কর্মী সঞ্জয় বেরা কে গ্রেফতার করে। তাঁর জেল হেফাজত হয়। জেলে থাকাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সঞ্জয়। এরপর তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে মেদিনীপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়। তারপর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আবারও তাঁকে পিজি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সাত দিন পর গত মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়।
পরিবারের দাবি পুলিশের গাফিলতির কারণে মৃত্যু হয়েছে সঞ্জয় বেরার। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন পরিবার। পাশাপাশি এই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জল গড়িয়েছে বহুদূর! তবে এদিন কোর্টের নির্দেশে ময়না তদন্ত সকল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই মধ্যরাতে মৃত সঞ্জয়ের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছয়। এরপর তার অন্তেষ্টিক্রিয়ার কাজ শুরু হয়। শোকে বিহ্বল গোটা গ্রাম।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *