সঙ্কেত ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। সরকারি প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নিয়ে আম জনতার একাধিক ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট ছেয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়। এবার ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে যারা থাকতে চান না, তাঁদের ফর্ম দিক রাজ্য সরকার।’

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দুপুরে টুইট করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “যাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য স্কিমগুলিতে থাকতে চান না, তাঁদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার। দুয়ারে সরকার শিবিরে ফেরত কাউন্টার থাকুক”। কুণাল আরও লিখেছেন, “ফেসবুকে বিকৃত বিপ্লবী না সেজে, ফেরত ফর্ম ফিল আপ করুন। আমরাও দোষী/দের ফাঁসি চাই। কুরাজনীতি নয়”।

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘কন্যাশ্রী’ সহ আর যে সমস্ত নারীকল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক মানুষ। সরকারের দিকে ধেয়ে এসেছে নানান কটাক্ষ। এমনকি মৃত চিকিৎসকের মাও এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘যাঁরা কন্যাশ্রী বা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা নেন, তাঁরা তা নেওয়ার আগে তাঁদের ঘরের লক্ষ্মী সুরক্ষিত কি না, এক বার ভাববেন। রাজ্য এবং দেশবাসীর কাছে এই অনুরোধ রইল।’

এই পরিস্থিতিতে কি পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটতে চাইছে তৃণমূল? এদিকে কুণালের এই পোস্ট নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মানুষের ভাবাবেগ যে শাসক দল বুঝতে পারছে না, তা এই সব কথাতেই পরিষ্কার। ন্যূনতম স্পর্শকাতরতা দেখাতে পারছে না তৃণমূল। তা ছাড়া ফর্ম বিলির যে কথা বলা হয়েছে, তাতে সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতাও প্রকাশ পাচ্ছে।” আবার বিজেপি নেতা সজল ঘোষ এ ব্যাপারে বলেন,“এই কথার মধ্যে চরম দম্ভ রয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তৃণমূল ঘর থেকে দেয় না। তা বাংলার মানুষেরই করের টাকা। যে বাংলার ঘরের মেয়েদের জীবন ও সম্ভ্রম এখন বিপন্ন।”

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *