সঙ্কেত ডেস্ক:” লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ৩৬টি আসন পেলে ৬ মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকারকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেবেন তিনি।” বৃহস্পতিবার যাদবপুর লোকসভায় যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে আজ যাদবপুর লোকসভা অঞ্চলের বিজয়গড়ের সভায় এমনটাই দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। একদা যে যাদবপুর লোকসভা অঞ্চল বাম দুর্গ বলে পরিচিত ছিল সেখানেই দাঁড়িয়েই তিনি দাবি করেন ২০২১ সালে তৃণমূল সরকারকে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে সিপিএম। বৃহস্পতিবার বিকেলে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সভায় তিনি অনির্বাণবাবুর ব্যক্তিত্বের কথা তুলে ধরে জানান, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় কোথাও আবেদন করেননি প্রার্থী হওয়ার জন্য। শুভেন্দু বলেন, ‘বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এই কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করেছে, যাতে যাদবপুর কেন্দ্রে সেকু ও মাকু দুটি দলকে নির্বাচনে আমরা শেষ করে দিতে পারে।’
যাদবপুর লোকসভায় যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে আজ যাদবপুর লোকসভা অঞ্চলের বিজয়গড়ের সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী, যে যাদবপুর লোকসভা অঞ্চল আগে বাম দুর্গ বলে পরিচিত ছিল, ‘আমরা বলি অত্যাচারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর ভাইপোর থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে হলে নো ভোট টু মমতা। আমরা বলি কংগ্রেস পরীক্ষিত আর প্রত্যাখ্যাত। সিপিএমও একই। তৃণমূল পরীক্ষিত এবং প্রত্যাখ্যাত হবে। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম সবসময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটের জায়গায় লড়েন। আগে লড়েছেন রায়গঞ্জে, এবারও লড়ছেন মুর্শিদাবাদে।
এদিনের নির্বাচনী সভা থেকে সিপিএমকে তৃণমূলের ‘বি টিম’ বলেও আক্রমণ শানান। শুভেন্দু বলেন ‘এই সেকু আর মাকুরা মিলে সব সভাতে গিয়ে বলেছে, নো ভোট টু বিজেপি, নো ভোট টু মোদী। এরা কেউ নো ভোট টু তৃণমূল বলেনি। আমরা বরং সব সভায় গিয়ে বলি, নো ভোট টু মমতা। এটা বিধানসভার ভোট নয়। কিন্তু এরাজ্যে ১৮টাকে যদি ডবল করে দেন ৬ মাসের মধ্যে এই সরকারটাকে বঙ্গোপসাগরে ফেলার কাজ আপনাদের বিরোধী দলনেতা করবে’।
শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, শুভেন্দু দিবাস্বপ্ন দেখছেন। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি নয়, তৃণমূল কংগ্রেস অন্তত ৩৫টি আসন পেতে চলেছে। আর তার পরও রাজ্যে বিজেপি নির্বাচিত সরকার ফেলার চেষ্টা করলে সব রকম প্রতিরোধ করবে তৃণমূল কংগ্রেস।